টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পশুপ্রেম অপরাধ! হেনস্তার শিকার হলেন এক পশুপ্রেমী মহিলা। অভিযোগের তীর পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার দিকে। নির্যাতিতা সুনন্দা দাস কাটোয়া থানার অন্তর্গত পানুহাট আদর্শপল্লী এলাকার বাসিন্দা। তিনি সরকারি নিয়ম মেনেই রাস্তায় থাকা অসহায় পশুদের খাওয়ানো, চিকিৎসা ও দেখাশোনা করেন নিজের উপার্জনের টাকা খরচ করেই। সুনন্দা দেবীর অভিযোগ, গত ৩০ মার্চ ২০২৫ রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সেই সময় বাড়ির বাইরে হঠাৎ চেঁচামেচির শব্দ শুনে বেরিয়ে আসতেই হেনস্তার শিকার হন। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু ধরের মেয়ে রাস্তার কুকুরছানাগুলিকে দেখে আতঙ্কে কেঁদে ফেলে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাজু ও তাঁর পরিবার। সুনন্দার অভিযোগ, তিনি অপমানজনক ভাষায় গালিগালাজ শুনে প্রতিবাদ করতে গেলে রাজু ধর ও তাঁর স্ত্রী মালা ধর তাঁকে মারধর করেন। বুকে, তলপেটে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে চড়-ঘুষি মারা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি তাঁর ১৫ হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন ও ফোনের ব্যাক কভারে রাখা ১,৫০০ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়।
শারীরিকভাবে আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়। পরে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশি অসহযোগিতারও শিকার হন তিনি। অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনায় রাজু ধর, মালা ধর ছাড়াও তাপস দাস, পাপিয়া দাস ও গীতারানী দাস-সহ একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল। পশুপ্রেমের মতো মানবিক কাজে নিয়োজিত একজন মহিলার উপর এমন নৃশংস হামলা এবং তার বিচার না হওয়া প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার নজির বলেই মনে করছেন অনেকে।এই ঘটনায় মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের বিভিন্ন পশু প্রেমি সংগঠনের সদস্যরা নিন্দার ঝড় তুলেছেন ইতিমধ্যে। এক পশু প্রেমী সংগঠনের সদস্য অর্ণব দাস জানান এটা খুবিই খারাপ জিনিস ,এই ঘটনা এর আগেও ঘটেছে সুনন্দাদির সাথে তখনিই আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছিল তারপর থেমে গিয়েছিলো, আমরা সুনন্দাদির সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো।