টুডে নিউজ সার্ভিস,কলকাতাঃ কলকাতার পারনিক ট্রান্সপোর্টট ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “যাত্রী সাথী” অ্যাপ, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিসি)-এর সহযোগিতায় ডিজিটাল বাস টিকিট বুকিং সুবিধা চালু করেছে। যাত্রী সাথী অ্যাপের এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি আপাতত এয়ারপোটের সঙ্গে সংযোগকারী ১২টি পাইলট রুটে উপলব্ধ এবং শীঘ্রই কলকাতার সমগ্র ডব্লিউবিটিসি নেটওয়ার্কে সম্প্রসারিত হবে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা সহজ, ক্যাশলেস টকিট বুকিংয়ের অভিজ্ঞতা পাবেন, যা তাদের দৈনন্দিন যাত্রাকে আরও সহজ এবং কার্যকর করবে।
যাত্রী সাথী অ্যাপের এই নতুন ডিজিটাল টাফটিং বৈশিষ্ট্য ব্যবহারকারীদের রুট ব’ গন্তব্য নির্বাচন করে সহজেই টিকিট বুক করার সুযোগ দিচ্ছে, যা নগদ লেনদেনের প্রযোজন দূর করবে। এটি বাসে ভিড় কমাবে এবং যাত্রীদের জন্য আরও সুবিধাজনক অভিজ্ঞতা তৈরি করবে। ক্যাশলেস পদ্ধতির মাধ্যমে পেমেন্ট সহজ হবে এবং ডিজিটাল ব্যবহার বৃদ্ধি পাবো এটি কলকাতার সুাট মোবিলিটি ট্রান্সফরমেশনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে কলকাতা ভারতের সেই শহরগুলির তালিকায় যুক্ত হলো, যেখানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আয়ও কার্যকর এবং যাত্রী- বান্ধব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় পরিবহন মন্ত্রী শ্রী তেয় শিস চক্রবর্তী বলেন, “যাস্ত্রী সামী-র মাধ্যমে ডিজিটাল টিকিটিং চালু হওয়া কলকাতার পাবলিক ট্রান্সপোটের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা বাড়ানোর এবং তাদের যাত্রাকে আরও সহজ করার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করো।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন বিভাগের সচিব ড. সৌমিত্র মোহন (আইএএস) বলেন, “যাত্রী সাথী-র সঙ্গে এই সহযোগিতা কলকাতাকে সত্যিকারের স্যাট সিটি বানানোর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ডব্লিউবিটিসি-র সমস্ত রুটে সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোর্ট কোট যাত্রীদের জন্য দৈনন্দিন যাত্রাকে আরও সহজ, নিরাপন ও কার্যকর করবে।”
যাত্রী সাথী তার সূচনা থেকেই কলকাতার মোনিনিটি ব্যবস্থা পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে। অ্যাপটি ৭০,০০০-এর বেশি ড্রাইভারকে সংযুক্ত করেছে এবং ২৭ লাখ ব্যবহারকারীর জন। ৬০ লাখের বেশি ট্রিপ পরিচালনা করেছে। ডিরেক্ট-টু-ড্রাইভার, জিরো-কমিশন ক্যাব রাইড অফার করার মাধ্যমে এটি ড্রাইভারদের অধিক ক্ষমতা প্রদান করতে এবং যাত্রীদের জন্য একটি সাশ্রয়ী বিকল্প প্রদান করছে। এখন, বাস টকিটিং সুবিধা যুক্ত করার মাধ্যমে যাত্রী সাথী কলকাতার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাবস্থাদ আরও সুবিধা যোগ করছে। এই সম্প্রসারণ শীঘ্রই শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর এবং আসানসোলের মতো শহরগুলিতেও পৌঁছাবে।
ভবিষ্যতে, যাত্রী সাহী অ্যাপে রিয়েল-টাইম বাস ট্র্যাকিং, জার্নি প্লানিং এবং মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট সলিউশন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই আপগ্রেডগুলি যাত্রীদের ভ্রমণ আরও ভালোভানে পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে এবং প্রথম ও শেষ মাইল সংযোগ উন্নত করবে। যাত্রী সাথী-র লক্ষ্য হলো একটি সুপার-অ্যাপে পরিণও ৩ওয়া, যা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবাও সরবরাহ করবে। ডিজিটাল ব্যবহার বাড়ানো এবং দ্বারীদের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়তে অ্যাপটি প্রতিশ্রুতিবন্ধ।
ডব্লিউবিটিসি সম্পর্কে : পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিসি) হলো প্রধান গণপরিবহন সংস্থা, যা পশ্চিমবঙ্গের, বিশেষত রাজধানী কলকাতা সহ, সরকারি বাস এবং ফেরি পরিষেবাগুলি পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ। এটি শহর এবং শহরতলির অঞ্চলজুড়ে একটি বিস্তৃত বাস নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে, যা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাঠীকে সেবা প্রদান করে। ডব্লিউবিটিসি-এর বছরে প্রচলিত বাস, সিএনজি এবং বৈদ্যুতিক বাস এবং জল ফেরি অন্তর্ভুক্ত, যা টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিবহন ব্যবস্থার প্রতি এর প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
উদ্ভাবন এবং আধুনিকায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ডব্লিউবিটিসি রাজ্যের গণপরিবহন পরিকাঠামো এবং প্রবেশযোগ্যতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহের সুবিধা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে, “যাত্রী সাথী” অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে নির্দিষ্ট রুটগুলিতে, যথা : AC-39, AC-50A, AC-37A, V-1, S-10, S-23A, AC-2, AC-43, AC-40, AC-23A, EB-12, S-661 পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বাস রুটগুলিকেও এই ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।
যাত্রী সাথী সম্পর্কে : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগ যাত্রী সাথী কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী শহরগুলির মোবিলিটি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করছে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক অভিজ্ঞতা প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ সুপার-অ্যাপে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন বিভাগ সম্পর্কে: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন বিভাগ রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন সেক্টরের বিকাশে উৎসর্গীকৃত। এটি একটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং ডিজিটালি সক্ষম সমাজ তৈরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে এবং উদ্ভাবন ও উদ্যোগমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে।
Social