টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে জল প্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে বুধবার বর্ধমান শহরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করে এমন মানুষের সঙ্গে বেশ কিছু অসামাজিক লোক যুক্ত থাকে। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাগজে দেখি পুলিশ খুব সক্রিয়, বালি মাফিয়াদের ধরছে, ছবি দেখতে চাইলে আমি দেখাতে পারি যেখান থেকে আমাদের ব্যবহার্য্য জল উঠছে তার চারপাশে একাধিক নৌকা ঘুরছে আর বালি তুলছে! পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, এইরকম যদি আর ছয় মাস চলে তাহলে ওখান থেকে আর জল উঠবে না, জলের তীব্র সংকট দেখা দেবে, স্বাভাবিকভাবে প্রতিবন্ধকতা বাঁধা সব জায়গাতেই আছে। বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে জল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে বর্ধমান শহরের দুর্নীতির পাশাপাশি পুলিশের কর্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।
পরেশবাবু তিনি আরও বলেন, যারা বেআইনি নির্মাণ করিয়ে দিতে পারে যারা বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট করিয়ে দিতে পারে, সরকারি জমি দখল করিয়ে দিতে পারে, রাস্তাঘাট হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়ছে, শুধু একটাই কারণ যানজট, সবকিছুতেই দুর্নীতিতে ভরে গেছে। সুন্দরভাবে জিটি রোডের পাশে সুন্দর করে পাথরের ফুটপাত তৈরি করা হলো, কিন্তু সব ফুটপাত বন্ধ! ফুটপাত জুড়ে চলছে রান্না খাওয়া-দাওয়া থাকা, আর ধরলেই বলছে পেটে লাথি মারছে। সবকিছুতেই কারোর না কারোর মদত আছে বলেও দাবি করেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। জেলখানা মোড় হয়ে বর্ধমান ইউনিভার্সিটির হোস্টেল মোড় অবদি গেলে দেখা যাবে দুই পাশে দোকান বসে গেছে। এরা কারা! এরা কেউ বর্ধমানের লোক নয়, বাইরে থেকে এনে টাকার বিনিময়ে তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের বসার কারণেই যানজট হচ্ছে, সাধারণ মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের ধরতে গেলে এক একটা কেউটে সাপের বাচ্চা! কেউ বলে আমার পিছনে অমুক কাকা আছে, কারোর পিছনে অমুক দাদা আছে, অমুক মামা আছে, সবার পিছনেই একটা না একটা লোক আছে, আমার পিছনে কেউ নেই। কাজ করা ভীষণ কঠিন যেখানেই হাত দিতে যাওয়া হবে ছোবল খেতে হবে বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার।
