টুডে নিউজ সার্ভিস, বীরভূমঃ “জোড়াফুল আপনাকে এনআরসি, সিএএ থেকে রক্ষা করবে” বীরভূমে দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়কে পাশে নিয়ে মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার বীরভূমের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে সাঁইথিয়ার মেলার মাঠে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “বীরভূম, বর্ধমান আমাদের শস্যভাণ্ডার। আপনারা আমাদের শস্য দেন, তাই দিয়ে আমরা জীবনধারণ করি। আগামী দিনে ডেউচা-পাঁচামিতে এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। কোনো ঘরে বেকার থাকবে না। এটা আপনাদের গর্ব বিনা পয়সা শস্যবিমা আমরা দিই। কেন্দ্রীয় সরকার দেয় না। সারা দেশটাকে লুট করে দিয়েছে মোদী সরকার। আমি বললে দোষ হবে। যখন অর্থমন্ত্রীর স্বামী দাঁড়িয়ে বলেন, দেশ লুট হয়ে গেল, দেশে আর কোনও দিন ভোট হবে না যদি মোদী আবার আসে। নোটবন্দির সময় জনগণের টাকা লুট করেছে। সব লুট করেছেআমি সেই কথাই বলি, যা আমি রাখতে পারব। যে কথা রাখতে পারব না, তা আমার মুখ দিয়ে বলানো যাবে না। আমাকে দেখতে হয় আমার কাছে টাকা আছে কি না। দিল্লি তো সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের ১ কোটি ৭৪ লক্ষ বকেয়া। সব বন্ধ ৯ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় চাল দিতে গেলে বছরে ৩২ কোটি টাকা লাগে। এই সব টাকা আমরা দিয়েছি। দু’বছর ধরে একটা টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। ভেবেছিল আমরা রেশনটা বন্ধ করে দেব, কিন্তু আমরা তা করিনি ৩ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ করতে দেয় না বাংলাকে। তা সত্ত্বেও আমরা নিজেদের ক্ষমতার জোরে একটা কর্মশ্রী প্রকল্প করছি। যেখানে জব কার্ড হোল্ডাররা বছরে ৫০ দিনের কাজ পাবেন। সব টাকা আমরা দেব মোদি সরকার যা বলেছিল, কিচ্ছু করেনি। দু’কোটি ছেলেমেয়েকে চাকরি দেবে বলেছিল, কিন্তু চাকরি তো দেয়নি, উল্টে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। উপরন্তু আমাদের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি ওরা কোর্টে কেস করে খেয়ে নিয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে আছি সন্দেশখালিতে কী ভাবে প্ল্যান করে মেয়েদের অসম্মান করেছে, দেখেছেন তো? ওরা জানে না, মেয়েদের কাছে টাকাটা বড় কথা নয়। তাঁদের কাছে আত্মসম্মান, মেয়েদের গরিমা— এটার সম্মান অনেক বেশি। নির্বাচনে জিততে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে। বেশি চক্রান্ত কোরো না, একদিন ফাঁস হবেই সিএএ, এনআরসি, ইউনিফর্ম সিভিল কোড করতে দেব না। দরকার হলে জীবন দেব, কিন্তু বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করব না “জোড়াফুল আপনাকে এনআরসি, সিএএ থেকে রক্ষা করবে।”