“পদ আছে প্রার্থী নেই, অদ্ভুত হলেও সত্যি”, নিজের দপ্তর নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

Prabir Mondal
3 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পদ আছে প্রার্থী নেই। অদ্ভুত হলেও সত্যি। আর এই ঘটনাই ঘটেছে খোদ এই রাজ্যের বুকে। এমনটাই জানালেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে গ্রন্থাগার দপ্তরের জন্ম হয়েছিল। তারপর থেকে এককভাবেই এই দপ্তর সুনামের সঙ্গে আজও নিজের কাজকর্ম চালিয়ে আসছে। এর আগে এই দপ্তর ছিল শিক্ষা দপ্তরের অধীনে। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একসঙ্গে এত বড় সংখ্যার প্রার্থী নিয়োগ হয়নি এই দপ্তরে। চলতি বছরেই এই দপ্তরে ৫০৩ জন নিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৫৩ জন কাজে যোগদান করেছে এবং ১৫০ জন তাঁদের সমস্ত প্রক্রিয়া চলছে। খুব শীঘ্রই তাঁরাও কাজে যোগদান করবেন। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানান, আমরা যেভাবে নিয়োগের পদ্ধতি সেই সমস্ত কিছু নিয়ম কানুন মেনেই নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজ্যে লাইব্রেরি সায়েন্স পাশ করে আসা প্রার্থীরা থাকলেও তারা যোগদান করতে পারেননি। পাশাপাশি মুখ ও বধির, শারীরিকভাবে সক্ষম, প্রতিবন্ধী এবং সেনাবাহিনীর তরফে যারা পরীক্ষা দিলেও যেহেতু তাদের লাইব্রেরী সায়েন্সের কোন ডিপ্লোমা ছিল না তাই তাঁরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে আসতে পারেনি। আমরা পুনরায় তাঁদের আবার আহ্বান জানাবো যদি তাঁরা সবকিছু পদ্ধতি মেনে এই পরীক্ষা দেন আমরা অবশ্যই তাঁদেরকে নিয়োগ করব। অন্যথায় এরপর এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শ্রম দপ্তরের অধীনে চলে যাবে। এরপর তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করবেন কিভাবে এই গ্রন্থাগার দপ্তরের কর্মী নিয়োগ হবে।


বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকে রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দিনকে দিন বেড়ে চলেছে তার পরেও মানুষ বারবার আঙ্গুল তোলেন বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের দিকে। কিন্তু যখন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হল তখন অধিকাংশ প্রার্থীরাই তাঁদের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে চেষ্টা করে চলেছে এই রাজ্য থেকে বেকারত্ব কে নির্মূল করার জন্য কিন্তু যোগ্য প্রার্থীরাই নেই বর্তমান রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা গ্রন্থাগার দপ্তরের প্রার্থী পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য।

বুধবার বিধানসভায় এসে অধিবেশনের পর গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানান, এই দপ্তর কাজ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই বাদ সাধছে রাজ্যের অর্থ দপ্তর। গ্রন্থাগার দপ্তর যদি সব কাজ স্বাধীনভাবে করার অনুমতি পায় তাহলে বর্তমান প্রযুক্তির যুগেও এই গ্রন্থাগার দপ্তর আবারও নতুন এক নজির সৃষ্টি করবে। ইতিমধ্যেই যখন প্রযুক্তি সবাইকে গ্রাস করেছে তখন এই রাজ্যের মানুষ এখনও পর্যন্ত লাইব্রেরিতে এসে বই পড়েন। প্রযুক্তি হয়তো থাকবে প্রযুক্তি হয়তো আরও উন্নততর হবে কিন্তু মানুষ চিরদিন বই পড়বে আর সেই কারণেই রাজ্যের এই গ্রন্থাগার দপ্তর তার নিজের ভূমিকাকে তুলে ধরতে সব সময় সচেষ্ট রয়েছে। আশা করি আগামী দিনে রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তর এই গাছের মান উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা পালন করবে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *