টুডে নিউজ সার্ভিস, দুর্গাপুরঃ আর.জি. কর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে যখন দেশজুড়ে হৈচৈ পড়ছে। ঠিক তখনই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সরকারি স্তরের নিরাপত্তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হল বেসরকারি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। রোগীকে দেখতে আসা আত্মীয় পরিজন ও বিভিন্ন রোগী যখন হাসপাতালে প্রয়োজনের নিরিখে আসেন। ঠিক তখনই কখনও কখনও শুরু হয় অব্যবস্থা। আর এই অব্যবস্থা রুখতেই সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এলো দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি। একযোগে দুর্গাপুরের বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গুলির কাছে হাসপাতালের পরিছন্নতা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়তার আহ্বান জানান রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত। আর এই ডাকে সাড়া দিয়ে শহরের নামিদামি হাসপাতালগুলি এগিয়ে এলো।
রবিবার রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের উপস্থিতিতে হাসপাতালেই বৃহৎ পরিসরে রোগী কল্যাণকর ব্যবস্থা গুলি গ্রহণ করা হলো। এই বেসরকারি হাসপাতালগুলি যেমন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নজর দেবে ঠিক তেমনই এই হাসপাতাল গুলির মধ্যে একটি হাসপাতাল হাসপাতালের বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। এই অনুষ্ঠানে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ড: ধীমান মণ্ডল, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত সহ আরও অনেকে।
রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করবে কাঁকসার মলানদিঘীর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আর হাসপাতালের ভিতরের পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেবে দুর্গাপুরের দু’টি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আগের তুলনায় রোগীদেরও বাড়ছে আস্থা। লক্ষ্য একটাই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মান উন্নয়ন করা।”
মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, “সরকারি হাসপাতালের ভোল বদলের জন্য আমরা নানা প্রচেষ্টা করি। সেই রকমই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিতে দু’টি সুপার স্পেশালিটি এবং একটি মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের সাড়া দিয়েছেন ওনারা। আমরা আশাবাদী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা আরও উন্নত হবে।”
Social