কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মালদহ গাজোলে রোজগার মেলা

Prabir Mondal
2 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, মালদাঃ আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও মন্ত্রে উজ্জীবিত তপশিল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের মুখ্য আধিকারিক সৌমেন কোলে। নিজের পরিধির বাইরে রাজ্যের হাজার হাজার বেকার ভাইবোনদের স্বপ্নকে সার্থক করতে এক ইতিবাচক পরিকল্পনা রূপায়ণ করেন। সেই পরিকল্পনার সার্থক পরিণতির প্রথম পদক্ষেপ রচিত হল রাজ্যের ঐতিহাসিক জেলা মালদহের গাজোল ব্লকে। সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন গাজোল ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন ও মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সদস্য দিনেশ টুডু।

মঙ্গলবার গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাগৃহে ছিল রোজগার মেলার শুভ সূচনা। অনুষ্ঠানে গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকদের সঙ্গে দেশের বিখ্যাত ব্যবসায়ী সংস্থার আধিকারিকেরা দিল্লি থেকে রোজগার মেলায় কর্মসংস্থান সংস্থার দুই ব্যাক্তিত্ব ড: বীরেন্দ্র বাথ ও আনন্দ সুরি।
ক্লাস এইট থেকে এমবিএ স্তরের কর্মপ্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল বাঁধ ভাঙা। এঁদের মধ্যে এদিন প্রায় একশোজন চাকরিপ্রার্থী সরাসরি ইন্টারভিউতে যোগ দেন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের হোতা শিল্প বিকাশ কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ সৌমেন কোলে বলেন, রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার যুব কর্মপ্রার্থীদের কাজের অধিকারকে বাস্তবায়ন করার মধ্যে দিয়ে রাজ্যের কর্ণপ্রার্থীদের এক বিশাল অংশকে যুক্ত করার স্বপ্ন সার্থক করার লক্ষ্যে পৌঁছব। আশা করি প্রাথমিক পর্যায়ে পুজোর আগেই বেশকিছু কর্মপ্রার্থীর মুখে আমরা হাসি ফোটাতে পারব। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের দুই আধিকারিক জানান, সৌমেন কোলের সুপরিকল্পিত কর্মযজ্ঞে রাজ্যের সবচেয়ে বড় ব্লকের যোগদান রাজ্যকে নতুন দিশা দেখাবে।

একটি সমীক্ষা অনুসারে ভারতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ৩০.৫ শতাংশ মানুষ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান আর্থিক সংকটের ঢেউ পশ্চিম বাংলাতেও আছড়ে পড়েছে। ফলে তরুণ প্রজন্মের অস্তিত্ব সংকটের ছবিটা সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। সরকারি চাকরি দিনদিন সংকুচিত হচ্ছে। তবু শহরের বেকার যুব সম্প্রদায় কিছু সুযোগ পেলেও গ্রামীণ বাংলার কর্ম প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক এলাকায় বসবাসের কারণে। বেসরকারি উদ্যোগে তাই কর্মসংস্থানের একটি উদ্যোগ নিচ্ছেন অনেক সংস্থা। দীর্ঘ ৩৪ বছরের সংস্থা কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের কাণ্ডারি হিসেবে সৌমেন কোলে হাল ধরেন। নতুন নামকরণ হয় তপশিল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ কেন্দ্র । নিরলস প্রচেষ্টায় সংস্থায় আজ ১০ হাজার কর্মী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। সংস্থা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি লাভ করেছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *