দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ ‘জামাইষষ্ঠী’ মানেই শ্বশুর বাড়িতে বিশেষভাবে জামাই আদর, সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া আর সকলে মিলে আনন্দ- হই হুল্লোড় তো আছেই। কিন্তু জামাই ষষ্ঠীর সকালে জামাই আদরের বন্দোবস্ত করতে গিয়ে কার্যত ঘুম উড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের। এদিন মাছ, মাংস থেকে ফল-মূল সবকিছুর দামই বেশ চড়া, ফলে শ্বশুর কূলের পকেট যে বেশ ভালোই খালি হচ্ছে তা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাঁকুড়া শহরের চক বাজারে এদিন কাতলা মাছ -৩০০, রুই ২০০ থেকে ২৫০, পাবদা-৬০০, পারসে ৪০০, ইলিশ দু’হাজার টাকার উপরে, বাগদা চিংড়ি ৪০০, গলদা চিংড়ি ৭০০, পমফ্রেট ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় মাছের দাম এদিন একটু বেশিই আছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এই চিত্রটা শুধু বাঁকুড়ায় ময়, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বাগদা থেকে বাঁকুড়া সর্বত্রই।
যাঁরা আগেই বাজার করেছেন, তাঁদের দাবি গত বছরের তুলনায় এই বছরে মাছ ও মাংসের কেজিতে ১০০ টাকা করে বেড়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত ইলিশ না আসায় ইলিশের দামে বৃদ্ধি। তবে জামাই ষষ্ঠীতে যে বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি থাকে তা মেনে নিচ্ছেন সবাই।
অন্যদিকে রেস্তোরাঁ মালিকরাও জামাই-ষষ্ঠীর রাতের ডিনারে নতুন মেনু এনেছেন, সাজিয়েছেন জামাই ষষ্ঠীর প্লেট। অনেকেই ঘরে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত না করে তা সারবেন রেস্তোরাঁগুলিতেই।
Social