Breaking News

পুরীর রথের পট্টডোরী যেত বর্ধমানের এই গ্রাম থেকেই

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পুরীর রথযাত্রার দড়ি যেত একসময় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কুলিনগ্রাম থেকে। রবিবার এই গ্রামের ৫০০ বছরের পুরনো রথযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। পূর্ব বর্ধমানের এই রথ আজও টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেই ইতিহাসকেই। জানা যায়, ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যের রচয়িতা মালাধর বসুর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত বসুকে পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ টানার জন্য বর্ধমানের কুলিনগ্রাম থেকে পট্টডোর আনার নির্দেশ পান। লক্ষীকান্ত বসু রথ টানা পট্টডোর নিয়ে পুরীতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই শুরু হয় জামালপুরের ঐতিহ্যমন্ডিত এই রথযাত্রা। মাঝখানে কখনও বন্ধ হয়নি। ৮ দিনের পরিবর্তে ৯ দিনের রথ হয় এখানে। এলাকার মানুষরা জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন নিয়মিত ভাবে পুরীতে কুলিনগ্রাম থেকেই রথের পট্টডোর যেত, তবে ধীরে ধীরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলাকায় বসু পরিবারের সদস্যরা কাজের সূত্রে এখন আর গ্রামে থাকেন না। তাঁরা নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। তবে গ্রামে রথযাত্রা হয় ধুমধাম করেই।

কাঠের তৈরি রথের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ১৬ ফুট। ৬টি লোহার চাকা রয়েছে রয়েছে রথে। তিন তলা এই রথে রথের ওপরের তলায় থাকেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। গ্রামের মাঝেই গড়ে উঠেছে জগন্নাথ মন্দির। সেখান থেকে বিশেষ পুজো করা হয়। উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে দেবব্রত সিংহ বলেন, “চৈতন্যদেব যখন এসেছিলেন তখন থেকে এই রথ। সেই থেকে রথ চলে আসছে। ৫০০ বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। পট্টডোর এক সময় পুরীতে যেত। তা বিলুপ্ত হয়। তবে আমরা আবার সেই প্রথা ফেরাতে চাইছি।”

About News Desk

Check Also

চাকরি দেওয়ার নামে দলের নেতার কাছেই প্রতারণার শিকার, সব হারিয়ে আত্মঘাতী তৃণমূল নেতা

দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ হাতে তিন চারটে চাকরি রয়েছে। কিন্তু তার জন্য দিতে হবে মোটা অঙ্কের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *