করিমপুর এম.সি ক্লাবকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান বেলেন্ডা প্রগতি পাঠাগার ক্লাব

Prabir Mondal
2 Min Read

জ্যোতির্ময় মণ্ডল, মন্তেশ্বরঃ মন্তেশ্বর ব্লকের নিউ এলাহি ভরসা ক্লাব পরিচালনায় মন্তেশ্বর ফুটবল খেলার মাঠে জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন প্রান্তের ৮টি দল নিয়ে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া প্রায় দুইমাস ব্যাপি একটি নক আউট ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলার প্রধান উদ্যোক্তা শেখ নাসিমউদ্দিন, জানান এই ফুটবল খেলাটি দুই মাস চলার পর রবিবার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হলো। এই খেলা ৭তম বছরে পদার্পণ করল এবং এই নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় নদীয়া করিমপুর এম.সি ক্লাব বনাম মন্তেশ্বর ব্লকের বেলেন্ডা প্রগতি পাঠাগার ক্লাব। খেলায় নির্ধারিত সময়ের খেলায় কোনো দলই গোল করতে পারে না। খেলার নির্ধারিত সময়ের পর টাইব্রেকারে খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়। টাইব্রেকারে বেলেন্ডা প্রগতি পাঠাগার নদীয়া করিমপুর এম.সি ক্লাবকে ৫টি গোল দেয়। অপরদিকে নদীয়ার করিমপুর এমসি ক্লাব ৪টি গোল করে টাইব্রেকারে। বেলেন্ডা প্রগতি পাঠাগার, ৫-৪ গোলে নদীয়ার করিমপুর এম.সি ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয় বেলেন্ডা প্রগতি পাঠাগার ক্লাব। খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয় নদীয়ার করিমপুর এম.সি দলের জয়ন্ত সোরেন, ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হয় চ্যাম্পিয়ন বেলেন্ডা দলের পলাশ সেখ। এদিন খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ, মন্তেশ্বর থানার নবনিযুক্ত আইসি বিপ্লব পতি ,মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকুল ইসলাম, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কানু শেখ, সহ এলাকার বিশিষ্ট প্রাক্তন খেলোয়াড় ওএলাকার বিশিষ্ট জনেরা। খেলা শুরু হওয়ার আগে মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ক্লাব কর্তারা
বাজনা সহকারে জাতীয় পতাকার নিয়ে গোটা খেলার মাঠ পরিক্রমা করেন। খেলার মাঠে বলে কিক মেরে ফাইনাল খেলা শুরু করেন মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ ও থানার আইসি বিপ্লব পতি। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ ও মন্তেশ্বর থানার নবনিযুক্ত আইসি বিপ্লব পতি জানান সম্প্রীতির বার্তা বহন করে, এলাকার মানুষের আনন্দ উৎসাহকে মান্যতা দিয়ে নতুন প্রজন্মের ছেলেদের মোবাইল ফোন ব্যবহার কমিয়ে ফুটবল খেলা বজায় রাখতে গেলে মাঠমুখী হওয়া প্রয়োজন। তবে এই মাঠে খেলা প্রতিযোগিতা বজায় থাকবে। খেলার মাঠে খেলা দেখার দর্শক হয়েছিল মহিলা সহ কয়েক হাজার।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *