Breaking News

ভুতুড়ে কাণ্ড! আবাস যোজনার তালিকায় একই নাম পাঁচবার, এলাকায় খোঁজ মিললো না ওই নামের উপভোক্তার

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বাড়ি আছে, তারপরও নাম আবাস যোজনায়, আবার যার চালচুলো নেই, তার নামও নেই! এমন অভিযোগ উঠেছে একাধিক। বিভিন্ন জেলা থেকে সামনে আসছে এমনই অভিযোগ। এবার অভিনব অভিযোগ উঠেছে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান‌ জেলার  কাটোয়ায়। আবাস যোজনার তালিকায় একটি নাম রয়েছে পাঁচ বার। স্বামী ও বাবার নাম ভিন্ন হলেও উপভোক্তার নাম একটাই। কিন্তু কে সেই মহিলা? কোথায় থাকেন? আদৌ গ্রামে ওই নামে কেউ আছেন? বুঝে উঠতে পারছেন গ্রামের লোক, খবর নেই প্রশাসনের কাছেও। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, সুদেষ্ণা রায় নামে এক উপভোক্তার নাম পাঁচবার তালিকায় উঠেছে। তবে উপভোক্তার নাম সুদেষ্ণা রায় হলেও হলেও তাঁর স্বামী বা বাবার নাম বদল হয়েছে। এই ভূতুড়ে নামের ঠেলায় প্রকৃত উপভোক্তারা আবাস যোজনার ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও।

সুদেষ্ণা রায় বলে আদৌ ওই গ্রামে কেউ আছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তালিকার কোথাও সুদেষ্ণা রায়ের স্বামীর নাম গুরুপদ মাজি, কোথাও মানিক দাস। আবার কখনও বাবার নাম হয়েছে শক্তিপদ খাঁ, কখনও বিশ্বনাথ দাস। ভুতুড়ে কাণ্ডে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রকৃত উপভোক্তারা।
গ্রামবাসীরা বলছেন, এটা আসলে ভুতুড়ে নাম। কাটোয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নেতার অভিযোগ সরকারি কর্মীদের উদাসীনতায় উপভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন।

অন্যদিকে, জেলার বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য বলেন, “এখন ঝোলা থেকে সব ভূত বেরিয়ে পড়বে। তাঁর কথায়, তৃণমূল ভূতের নাম করে এতদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করেছে, আমরা ভূত খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হব। সরকারি কর্মীদের ঘাড়ে দোষ দিলে হবে না।” এদিকে, কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জানান, তাঁরাও সুদেষ্ণা রায় নামে কাউকে পাননি। ভুতুড়ে নামের অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। উপভোক্তাদের অভিযোগ, সুদেষ্ণা রায় নামে কোন ব্যক্তি এই তল্লাটে নেই।

তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির নেতা গৌতম ঘোষালের দাবি, সুদেষ্ণা রায় নামে কেউ নেই। দলের বদনাম করতে সরকারি কর্মীরা তালিকায় ভূতুড়ে নাম ঢুকিয়ে এই কাজ করেছে, ঘটনার তদন্ত করা হোক।

যদিও এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এটা প্রশাসনিক ব্যাপার কারন সরকার এবং দল আমরা স্বচ্ছতার সাথে এই কাজটা করে বেড়াচ্ছি,হয়তো কোথাও ভুল হয়েছে সেজন্য হয়েছে। নিশ্চয়ই প্রশাসনিক যারা আধিকারিক রয়েছে তারা এটা দেখবে,এটা নিয়ে বিতর্ক যারা সৃষ্টি করছে তারাতো কোনো মানুষের কাজে লাগেনা, তাদের নির্বাচনেও মানুষ রিজেক্ট করে দিয়েছে, তাই এইসব বিতর্ক রটাচ্ছে। কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও আসিফ আনসারি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন সুদেষ্ণা রায় নামে কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

About Prabir Mondal

Check Also

বাঘ গুনতে সুন্দরবনে বসছে ১৪৪৪টি ক্যামেরা

টুডে নিউজ সার্ভিসঃ বাঘের সংখ্যা জানার জন্য আবার সুন্দরবনের জঙ্গলে বসতে চলেছে ক্যামেরা। প্রতিবছর শীতের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *