দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল এলাকায় আজ পর্যন্ত কোনো রেলপথ নেই, তবে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের গ্রামে তৈরি হল ‘নতুন রেলপথ’ রানিবাঁধ ব্লকের রুদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নারাণপুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হল রেলপথের উপর রেল গাড়ির আদলে। ট্রেনের আদলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, যা নজর কেড়েছে ওই এলাকা সহ আশেপাশের বাসিন্দাদের। আকর্ষণীয় এই কেন্দ্র আকৃষ্ট করছে এলাকার কচিকাঁচাদের । সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম রেল কোচের আদলে তৈরি এই কেন্দ্র, যা আলোড়ন ফেলেছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে কেন্দ্র থাকলেও অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ঘর ছিল না। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গ্রামের অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রের ঘর তৈরির। রানিবাধ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরআইডিএফ প্রকল্প থেকে ওই কেন্দ্রের ঘর তৈরি হল। যার ব্যয় বরাদ্দ প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। কংক্রিটের ওই কোচের মধ্যে তৈরি হয়েছে দুটি দরজা,ভিতরে মাঝে হলঘর ,একপাশে রান্নাঘর , একপাশে শৌচাগার । চত্বরে বসেছে নলকূপ। ব্লক প্রশাসন জানায়, আরআইডিএফ প্রকল্প থেকে রেল কোচের আদলে ওই কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। মডেল ছাড়াও এলাকার আকর্ষণীয় ওই কেন্দ্র খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হবে।বাসিন্দারা বলেন, গ্রামের বাচ্চা থেকে তাঁরা সকলেই খুশি। এলাকায় রেল যোগাযোগ নেই। সেই রেলপথ সহ রেল দেখার স্বাদ মিটছে সকলের। ইতিমধ্যেই পাশাপাশি এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসুক মানুষজনের আনাগোনা বেড়েছে নারাণপুর গ্রামে। বাইরের থেকেও প্রচুর মানুষজন আসছেন। মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি সহ ছবিও তুলে নিয়ে যাচ্ছেন সেই রেলগাড়ির আদলে তৈরি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র টি। আমাদেরও ভালো লাগছে বলে তারা জানান।
এবিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের চিত্তরঞ্জন মাহাতো বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই বাচ্চারা প্রথম বর্ণপরিচয় শেখে। বাচ্চারা যাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে পছন্দ করে সেই কথা ভেবেই রানীবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আকর্ষণীয়ভাবে রেলের কোচের আদলে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। দেখলে মনে হবে কোন রেল লাইনের উপর একটি রেলগাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে বাচ্চারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র যেতে আকৃষ্ট হবেন বলে তিনি মনে করেন। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু করা হয়নি। কবে থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
Social