সৈয়দ পাহাড়ি শাহ-র উরস উৎসব

Burdwan Today
2 Min Read

 

পাপু লোহার, পানাগড়ঃ পানাগড়ের দানবাবা প্রাঙ্গণে দানবাবা ওরফে সৈয়দ পাহাড়ি শাহ-র উরস উৎসব শুরু হলো শনিবার। প্রতি বছর মার্চ মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু মেলা চলে ১০ দিন ধরে। 

এদিন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মোর্চার সভাপতি ও চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ ওয়াজুল হক, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার নেতা উত্তম মুখার্জি, প্রভাত চ্যাটার্জি, আউসগ্রামের সমাজসেবী শেখ দাতা লালন, দানবাবা কমিটির চেয়ারম্যান পিরু খান।

লোকমুখে শোনা যায় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে বেশ কিছু ফকির ঈশ্বরের বাণী প্রচারে ও মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। তেমনই একজন হলেন সৈয়দ পাহাড়ি শাহ ওরফে দানবাবা। শোনা যায় পানাগড়ের এলাকায় এলাকায় তিনি ঘুরতেন এবং মানুষের কাছে ঈশ্বরের বাণী প্রচার করতেন। দিনের শেষে কাঁকসায় বর্তমানে যেখানে দানবাবা মাজার আছে সেখানেই তিনি রাত্রি যাপন করতেন। এলাকার মানুষজন জানান, বাবা কাউকে ফেরাতেন না। ভক্তরা তাঁকে যা কিছু দিতেন সবই তিনি দান করে দিতেন। যার কারণে তাঁর নাম হয় দানবাবা। পরে ১৯৬০ সালে তিনি দেহ রাখলে এলাকার মানুষ ওই জায়গায় তাঁকে সমাধিস্ত করেন। সেই সমাধীর উপর তৈরি করা হয় একটি মাজার। 

বহু অলৌকিক কাহিনী জড়িয়ে আছে এই দানবাবা মেলার সাথে। যার জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আস্থা আর বিশ্বাসের উপর ভর করে মেলায় দানবাবার কাছে মানসিক করতে ও পুজো দিতে ভিড় জমান।

মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আলম খান (পিরু) ও জানিয়েছেন প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পরেই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ মত বিধিনিষেধ মেনেই দানবাবার মাজার চত্বরে মেলা বসানো হয়েছে। মেলায় কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা মেলা চত্বরে নজরদারিতে রয়েছে। অপর দিকে মেলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও গোটা মেলা চত্বরে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে আগামী ১৬ তারিখে। 

জানা গেছে শুধু কাঁকসা বা পানাগড় বাজারের মানুষ ছাড়াও এই মেলা দেখতে সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সহ আশেপাশের রাজ্যের মানুষও ভিড় জমান।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *