গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, কাটোয়াঃ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুস্থূলী গ্রামে মা ব্রহ্মাণী মন্দিরে পুজো হল বিপুল উৎসাহের মাধ্যমে। চৈত্রমাসের শনিবারে মা ব্রহ্মাণীর বিশেষ পুজো ও মহোৎসব হয়। বারো বছর ধরে এই মহোৎসব চলে আসছে। মা ব্রহ্মাণী সম্পর্কে মন্দিরের পুরোহিত বিজয় চক্রবর্ত্তী বললেন, প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে মালাকার পরিবারের বংশধর ত্রৈলোক্যনাথ মালাকার পাশ্ববর্তী শ্রীবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের মুলগ্রামে শোলার কাজ করে সন্ধ্যাবেলায় ফেরার সময় ব্রহ্মাণী নদীর ধারে দুটি সাপকে খেলা করতে দেখে। তারপর পিছন ফিরে দেখে দুজন মহিলা।তারপর অদৃশ্য হয়ে যায়। ভয় পেয়ে কোনোরকমে বাড়ি ফেরেন তিনি।রাত্রিতে ত্রৈলোক্যনাথকে স্বপ্নে বলেন যে, আমি মা ব্রহ্মাণী। সকালে পাশের পুকুরে দুটি স্তম্ভ আছে গ্রামের আদি ব্রাহ্মণ কালিচরণ চক্রবর্ত্তীকে নিয়ে আমার পুজো করবি। সেই থেকে সর্পরুপী মা ব্রাহ্মণী পুজিত হয়ে আসছে। সকাল সন্ধ্যায় নিত্যসেবা হয়। জৈষ্ঠ্য মাসে বাৎসরিক পুজো হয়।
ঘোড়ানাশ গ্রামের সুর্দশন দে-র আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই মহোৎসব শুরু হয়। সুর্দশন দে-এর মৃত্যুর পর গ্রামবাসীরা পুনরায় সকলের উদ্যোগে মহোৎসব শুরু করেছে। মা ব্রহ্মাণী দুধ ও কলায় সন্তুুষ্ট।
মহোৎসব কমিটির সদস্য শান্তনু ঘোষাল বললেন, আজ থেকে ১২ বছর আগে কোটরা করে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়। তারপর মায়ের কৃপায় সকলের সহযোগিতায় এত বড় বিশাল আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের ১৫ হাজারের মত লোকের মহাপ্রসাদের আয়োজন করা হয়েছে। খিচুড়ি, পঞ্চরত্ন, টক, পায়েস রয়েছে।
মহোৎসব কমিটির আহ্বানে এদিন মা ব্রহ্মাণী মন্দিরে আসেন কাটোয়া-২ ব্লকের বিডিও পুষ্পেন্দু সাহা। মন্দিরে এসে পুজো দিলেন বিডিও পুষ্পেন্দু সাহা।
Social