টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার অন্তরর্গত খেড়ুর গ্ৰামে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে এক মহিলা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ঐ পরিবারের। নাবালিকার দেহ সোমবার ময়নাতদন্ত হলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃত ওই নাবালিকার নাম চৈতালি রায় (১৪)। পরিবারের লোক আরও জানান, বাড়ি থেকে ওই নাবালিকা মা-বাবাকে বলে গেছে আমি একটু আসছি। তারপর ওই নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক খোঁজাখুঁজি করে। এরপর ভাতার থানার দারস্থ হয় তার পরিবার এবং অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর মোবাইল নেটওয়র্কের সূত্র খুঁজে নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যায়। মঙ্গলবার ভাতার থানার অন্তরর্গত পাড়ুই থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু, উদ্ধার হয়ে বাড়ি ফিরে আসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। প্রথমে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর পর পরিবার জানতে পারে যে, নাবালিকাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। তখনই, অসুস্থ নাবালিকা জানায় যে, পুলিশ আসার আগে অপহরণকারী তাকে জোর করে ঠান্ডা পানীয় খাইয়েছিল, যার মধ্যে কিছু মেশানো ছিল। চিকিৎসা চলাকালীন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐ নাবালিকার। পুলিশ এই ঘটনায় ১৯ বছরের এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভাতারের খেড়ুর গ্রামে নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে থাকত ওই কিশোরী, সে ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। কয়েক সপ্তাহ আগে সে নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। নাবালিকার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Social