জ্যোতির্ময় মণ্ডল, মন্তেশ্বরঃ পরকীয়ার জেরে প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বরের লোহার গ্রামে। অসুস্থ স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী ও প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গেছে, লোহার গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল মণ্ডল-এর সাথে প্রায় বছর আটেক আগে বিয়ে হয় কালনার সুলতানপুর এলাকার ডলি বিবি-র। তাদের একটি সাত বছরের সন্তানও রয়েছে।
মনিরুল জানায়, রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রতিদিনই কিছুটা করে দুধ খায় সে। মঙ্গলবার রাতে তার জন্য রাখা দুধ কিছুটা খাওয়া মাত্রই ঘোরের মধ্যে চলে যায় সে। এরপর মাঝরাতে তার গোঙানির শব্দ শুনতে পায় মনিরুলের ভাই রেজাবুল। মনিরুলের ঘরের সামনে ছুটে এসে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে দেখে খাটের উপর পা দুটি গামছা দিয়ে বাঁধা ও হাত দুটি ওড়না দিয়ে বাঁধা রয়েছে মনিরুলের। পাশে বসে রয়েছে স্ত্রী ডলি। মনিরুল জানায় তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারতে চাইছিল ডলি ও আর একজন যুবক। ঘরের মধ্যে খুঁজে খাটের তলা থেকে মাদুর ঢাকা অবস্থায় এক যুবককে বের করে রেজাবুল। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই যুবকের নাম সাদ্দাম সেখ। মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা সে। মনিরুলের অভিযোগ তাকে লুকিয়ে গত কয়েক বছর ধরে তার সাথে সম্পর্ক রয়েছে ডলির।
এদিন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পক্ষ থেকে থানায় খবর গেলে পুলিশ দুজনকেই থানায় নিয়ে যায়। মনিরুলের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকেই আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে সাদ্দামের সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ডলিও। তার দাবি সাদ্দামের সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্ধুত্বের খাতিরে তার বাড়িতে এসেছিল সে। স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন তাদের আটকে রেখে মারধর করেছে বলে অভিযোগ তার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীসহ ওই যুবককে আটক করা হয়েছে।
স্ত্রী ডলি বিবি-র মা বলেন, জামাই যে অভিযোগ করছে মেরে ফেলার সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার মেয়েকে ওরা প্রচন্ড মারধর করেছে আর প্রায় সময় আমার মেয়েকে মারধর করে এবং শারীরিক নির্যাতন করত জামাই ও পরিবারের লোকজন।
Social