পাপু লোহার, পানাগড়ঃ বুধবার পানাগড়ের দানবাবা প্রাঙ্গণে দানবাবা ওরফে সৈয়দ পাহাড়ি শাহ-র উরস উৎসব শুরু হলো। বেশ কিছুদিন ধরে উৎসবকে ঘিরে প্রস্তুতির কাজ চলছিল জোর কদমে। প্রতি বছর মার্চ মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু মেলা চলে ১০ দিন। এদিন মেলার সূচনা করেন মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আলম খান (পিরু) ও কাঁকসার বিশিষ্ট সমাজসেবীদের দিয়ে এদিন মেলার সূচনা করা হয়। সঙ্গে ছিল মেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আলম খান (পিরু) ও জানিয়েছেন, প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পরেই বুধবার মেলার আয়োজন করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশ মত করোনার বিধিনিষেধ মেনেই দানবাবার মাজার চত্বরে মেলা বসানো হয়েছে। মেলায় কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একদিকে যেমন কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা মেলা চত্বরে নজরদারিতে রয়েছে।ওপর দিকে মেলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও গোটা মেলা চত্বরে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে আগামী ১৬ তারিখে।
গত কয়েকদিন আগে প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পরেই মেলা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে শুধু কাঁকসা বা পানাগড় বাজারের মানুষ ছাড়াও এই মেলা দেখতে সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সহ আশেপাশের রাজ্যের মানুষও ভিড় জমান। লোকমুখে শোনা যায় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে বেশ কিছু ফকির ঈশ্বরের বাণী প্রচারে ও মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। তেমনই একজন হলেন সৈয়দ পাহাড়ি শাহ ওরফে দানবাবা।
শোনা যায়, পানাগড়ের এলাকায় এলাকায় তিনি ঘুরতেন এবং মানুষের কাছে ঈশ্বরের বাণী প্রচার করতেন। দিনের শেষে কাঁকসায় বর্তমানে যেখানে দানবাবা মাজার আছে সেখানেই তিনি রাত্রি যাপন করতেন। এলাকার মানুষজন জানান, বাবা কাউকে ফেরাতেন না। ভক্তরা তাঁকে যা কিছু দিতেন সবই তিনি দান করে দিতেন। যার কারণে তাঁর নাম হয় দানবাবা। পরে ১৯৬০ সালে তিনি দেহ রাখলে এলাকার মানুষ ওই জায়গায় তাঁকে সমাধিস্ত করেন। সেই সমাধীর উপর তৈরি করা হয় একটি মাজার।
বহু অলৌকিক কাহিনী জড়িয়ে আছে এই দানবাবা মেলার সাথে। যার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ আস্থা আর বিশ্বাসের উপর ভর করে মেলায় দানবাবার কাছে মানসিক করতে ও পুজো দিতে ভিড় জমান প্রতি বছর।
Social