বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ বৃহস্পতিবার পলাশীর যুদ্ধর ২৬৫তম বর্ষপূর্তি। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন তারিখে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলা ও ফরাসির দুই মিত্রদের সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে যে যুদ্ধ হয়েছিল তাই পলাশী যুদ্ধ নামে পরিচিতি। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষের ইংরেজদের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয় এটি ব্রিটিশদের দ্বিতীয় যুদ্ধ ছিল। দক্ষিণ শিয়াতে ইঙ্গ যুদ্ধের পর এলো মুঘল যুদ্ধের পর যুদ্ধ তো প্রায়ই কলকাতা থেকে দেড়শ কিলোমিটার উত্তরে এবং উত্তর এবং মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ বাংলার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান নদীয়া জেলায় হুগলি নদীর তীরে হুগলিতে পলাশীতে সংঘটিত হয়েছিল।
যুদ্ধকারীরা ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তিনি আলীবর্দী খানের (তার মাতামহ) স্থলাভিষিক্ত হন। সিরাজউদ্দৌলা আগের বছর বাংলার নবাব হয়েছিলেন এবং তিনি ইংরেজদের তাদের দুর্গের সম্প্রসারণ বন্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন। রবার্ট ক্লাইভ নবাবের সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি মীর জাফরকে ঘুষ দেন এবং তাকে বাংলার নবাব করার প্রতিশ্রুতিও দেন। ক্লাইভ ১৭৫৭ সালে প্লাসিতে সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করেন এবং কলকাতা দখল করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা বা মির্জা মুহম্মদ সিরাজউদ্দৌলা (১৭৩২–১৭৫৭) ছিলেন বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব। বাংলা ইতিহাসের এক প্রতিমূর্তি। পলাশীর যুদ্ধে তাঁর পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে ১৯০ বছরের ইংরেজ শাসনের সূচনা হয় ।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানের যুদ্ধে স্বাধীন বাংলার নবাব ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়। ফলে প্রায় ২০০ বছরের জন্য বাংলা স্বাধীনতা হারায়। প্রতি বছর সে জন্য ২৩ জুন পলাশী দিবস হিসাবে পালিত হয়। যা দেখতে দেখতে ২৬৫ বছর। ১৭৫৭ সালের এই দিনে নদীয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভ, মীরজাফর, রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ চক্র এই কালো দিবসের জন্ম দেয়। তাই নদীয়ার ঐতিহাসিক পলাশী মনুমেন্ট নামে পরিচিত সেই স্থানে পালিত হয় আর এইখানে উপস্থিত হয় শুধু নদীয়াবাসি বলে নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহ তথা বাংলাদেশ থেকেও বহু পর্যটক আজকের দিনে আসেন এই স্থানটিকে শ্রদ্ধা জানাতে।
Social