Breaking News

দু’বছর পর স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় ভিটেমাটিতে ফিরে এলো সাত পরিবার

 

বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ প্রায় দু’বছর পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে ঘরে ফিরল সাতটি পরিবার। জানা যায়, গত ১৮ মাস আগে শান্তিপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সারাগর নতুন পাড়া এলাকায় গোবিন্দ দাস নামে এক যুবক খুন হয়। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা, পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। সেই সময় শান্তিপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছিল মাধব সরকার, যদিও ওই যুবক খুন হওয়ার পর থেকেই মোট নয়টি পরিবারের উপর শুরু হয় অত্যাচার। অত্যাচারের জেরে প্রাণ ভয়ে ভিটে মাটি ছেড়ে ঘর ছাড়া হয় নয়টি পরিবার। দীর্ঘ ১৮ মাস ওই পরিবারগুলি ছাড়া ছিল, গত কয়েকদিন আগেই এলাকার নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করে ওই পরিবারগুলি। তারপরে ওই ন’টি পরিবার শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়, এবং তারা যেন বাড়িতে ফিরে আসতে পারে সেই আবেদন জানায় পুলিশকে। অবশেষে শুক্রবার এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর প্রভাত বিশ্বাস ও শান্তিপুর থানার যৌথ উদ্যোগে ন’টি পরিবারের মধ্যে সাতটি পরিবারকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে  যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। সেই মতই শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূল কাউন্সিলর প্রভাত বিশ্বাস সাতটি পরিবারকে সাথে নিয়ে তাদের ভিটে মাটিতে ফিরিয়ে আনলেন।

 এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর প্রভাত বিশ্বাস বলেন, গত ১৮ মাস আগে এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছিল তখন আমি কাউন্সিলর ছিলাম না, এই পরিবারগুলি আমাকে জানানোর পর আমি শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে কথা বলি। ন’টি পরিবারের মধ্যে সাতটি পরিবার এরা কেউ এই খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত নয়, তাই শান্তিপুর থানার আধিকারিক উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের ঘরে ফিরিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য, আজ আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই পরিবারগুলিকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিলাম। যদিও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারাগর নতুন পাড়া বারোয়ারীর সদস্যরাও তৃণমূল কাউন্সিলর সাথে একমত হয়েছেন। তারা চাইছেন, এই পরিবারগুলি এলাকায় ফিরে আসলে কোনো সমস্যা নেই, আমরা সকলেই একসাথে বসবাস করবো। কিন্তু খুনের ঘটনার সাথে যে দুটি অভিযুক্ত পরিবার রয়েছে তাদের আমরা এলাকায় ফিরে আসতে অনুমতি কখনই দেবো না। স্বভাবতই প্রায় ১৮ মাস পরে নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে আসতে পেরে যথেষ্টই খুশি ঐ সাতটি পরিবার। যদিও ১৮ মাস পরে বাড়িতে ফিরে এসে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি ওই পরিবারগুলি। কোনো কোনো পরিবারগুলির ঘরবাড়ি গুলি ভাঙাচোরা অবস্থায় পরে রয়েছে, ঘরের দরজা খুলতেই দেখা যায় লন্ডভন্ড। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়িতে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। যদিও ১৮ মাস বাদে ভিটেমাটিতে ফিরে আসতে পেরে শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরকে সাধুবাদ জানিয়েছে ওই  পরিবারগুলির সদস্যরা।

About Burdwan Today

Check Also

সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, দাদাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন

দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে দাদাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *