দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ বিষ্ণুপুরে ফিরলেন তন্ময় ঘোষ। সোমবার কলকাতায় ব্রাত্য বসুর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। বিষ্ণুপুর বিধানসভা থেকে বিজেপির টিকিট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক হন। নির্বাচনে জিতেও বিধায়ক হয়ে বিজেপি কর্মসুচীতে দেখা যায়নি তন্ময় বাবুকে। তাকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিষ্ণুপুরের বুকে অলিতে গলিতে শুরু হয়ে গিয়েছিল তন্ময়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ নিয়ে জোর চর্চা। তবে সোমবার সব জল্পনা ও চর্চার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন তন্ময়। সোমবার কলকাতায় আনুষ্ঠানিক যোগদানের পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুরে ফিরলেন তন্ময়।
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে তাই ঘরের ছেলেকে বরণ করতে বিষ্ণুপুর কাটানধার বাইপাসে হাজির ছিলেন দলীয় কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অলোক মুখার্জী। তন্ময়ের গাড়ি বিষ্ণুপুর প্রবেশ করতেই তাকে নিয়ে প্রবল উচ্ছাসে ভাসলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে প্রবল উচ্ছাস ও উদ্দীপনায় ভাসলেন দলের কর্মীরা। কাটানধার বাইপাস থেকে মিছিল করে বিষ্ণুপুর শহর ঘুরে রবীন্দ্র স্ট্যাচু মোড়ে তৃণমুলের নেতা কর্মীরা শুভেচ্ছা জানালেন তন্ময় ঘোষ কে। এদিন তন্ময় বাবু বিষ্ণুপুরের মাটিতে পা দিয়ে জানান, বিষ্ণুপুরের উন্নয়ন তাঁর লক্ষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছেন সেই উন্নয়নের ডালি নিয়ে বিষ্ণুপুরের মানুষের সেবার জন্য তিনি তৃণমূলে এসেছেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় ভয় দেখানোর রাজনীতি করছে, বাংলার বাঙালিয়ানাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে এমনি অভিযোগ করেন তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যের তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অলোক মুখার্জী বলেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো।
Social