বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ আসাননগর ভীমপুরের বাসিন্দা লীলা প্রামানিক চাকরির আশায় ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার। শুলতা সাহা নামের ওই মহিলা সুসম্পর্কের সুযোগে প্রতারিত করে লীলা প্রামানিক-কে। দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল লীলা প্রামানিক এর সঙ্গে শুলতা সাহার। ছোট থেকেই লীলা প্রামানিকের বাড়িতেই থাকতো শুলতা সাহা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই আবগারি দপ্তরে ছেলের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৬ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে। এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন। দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির স্বপ্ন দেখিয়ে এই এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত শুলতা সাহা। দীর্ঘদিন ধরেই ভীমপুর থানার অন্তর্গত আসাননগরে সপরিবারে বসবাস করতেন শুলতা সাহা। প্রতারণার জাল বিস্তারের জন্য আসাননগর থেকে কৃষ্ণনগর রাধানগরে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী অফিস তৈরি করেন কৃষ্ণনগরে। দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসে সরকারি চাকরি জন্য লীলা প্রামানিক-কে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও যখন চাকরি না পায় এবং জেলায় একের পর এক প্রতারণার ঘটনা সামনে আসতেই চাপ সৃষ্টি করে শুলতা সাহার উপর। টাকা নিয়ে অস্বীকার করে শুলতা ।
অভিযোগকারিণীর দাবি শুলতা সাহা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সোনার গহনার রেখে ঋণ নিয়ে চাকরির জন্য টাকা দেওয়া হয় শুলতাকে। যখন টাকা নিয়ে অস্বীকার খায় তার পরেই দ্বারস্থ হয় ভীমপুর থানার প্রশাসনের কাছে। শুলতা সহ আরও তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করে লীলা প্রামানিক। অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। অভিযোগের কথা জানতে পেরে শুলতা সাহা ১২ দিন ধরেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ।
Social