Breaking News

স্কুলের বিতর্কিত জমি কিনে বিপাকে এক ব্যক্তি

 

সন্তোষ মোদক, উত্তর দিনাজপুরঃ স্কুলের বিতর্ক জমি কিনে বিপাকে এক ব্যক্তি। জমি মালিকের দাবি তিনি নিজের খাতার জমি বিক্রি করেছেন। উল্লেখ গত মঙ্গলবার স্কুলের দান করা জমি বিক্রির অভিযোগ তুলে ধর্না ও বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন গ্রামের মহিলার এবং স্কুলের জমি রক্ষার স্বার্থে  আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল মহিলারা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ রাহি সহ একাধিক তৃণমূলের নেতৃত্বরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া এলাকায়। গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলনপল্লী উত্তর হাসকুন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছিলেন স্বর্গীয় শ্রী অনিল ভৌমিক বলে জানান গ্রামবাসিরা। সেই বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি মাঠ। সেই মাঠ স্কুলের মাঠ বলে পরিচিত বলে জানান গ্রাম বাসিরা। সেই দান করা জমি বিক্রি করার অভিযোগ তুলে ছিলেন স্বর্গীয় অনিল বাবুর ছেলেদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সেই জমি কিনে বিপাকে পরেছেন মুস্তাফা নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন ওই জমির দলিল ও সমস্ত কাগজ পত্র দেখে তিনি জমি কিনেছেন। কোনো স্কুলের জমি কিনেননি বলে জানান তিনি। তার পাশাপাশি ওই জমি কিনতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। যদি ওই টাকা তাকে ফেরত করে দিলে তিনি ওই জমি ফিরিয়ে দেবেন বলেন জানিয়েছেন। অন্যদিকে জমির মালিক সৌরুপ রঞ্জন ভৌমিকের দাবি তিনি নিজের খাতার জমি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন তার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য তিনি স্কুলের জমি বাদ দিয়ে স্কুলের সামনে থাকা তার ১২ কাঠা জমি থেকে প্রায় আড়াই কাঠার মতন জমি বিক্রি করেছেন এবং সমস্ত জমি বিক্রি করা টাকা তিনি ভাইয়ের চিকিৎসার পিছনে খরচ করে দিয়েছেন। সমাজ যদি ওই টাকার ব্যবস্থা করে দেন তাহলে তিনি মুস্তাফা বাবুকে টাকা ফেরৎ দিয়ে ওই জমি স্কুলের নামে করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। 

   পাশাপাশি এবিষয়ে পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ রাহিকে ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যখন সমাজের উপরে ছেড়ে দিয়েছে, তখন আমরা সামাজিক ভাবে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি বলে জানিয়েছেন তিনি।

About Burdwan Today

Check Also

কার্তিক লড়াইকে ঘিরে জমজমাট কাটোয়া

রাহুল রায়, কাটোয়াঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের সকলের কাছে সব থেকে বড় পুজো হল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *