ঝিলিক দাস, বীরভূমঃ করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ-এর জেরে বিপর্যয়ের মুখে গোটা দেশ। এর মধ্যে চলছে বাংলায় ভোট। নির্বাচনী প্রচারে কোন কমতি রাখছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রচারের মে ছবি উঠে আসছে তাতে দূরত্ব বজায় রেখে মিটিং মিছিল সমাবেশ করা ‘সোনার পাথর বাটির’ সোমান। বিশেষ করে তারকা প্রার্থীদের প্রচারে সুরক্ষা বিধি শিকেয় তুলে তারকাদের সঙ্গে সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি চোখে পড়ছে বেশি। তাই কিছুটা হলেও সংক্রমণ বাড়ার দায় বর্তায় নির্বাচনী প্রচারের উপর। তবে সংক্রমনের বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে বা সংক্রমনের দায় নিতে নারাজ রাজনৈতিক নেতারা।
২৯ এপ্রিল শেষ দফার ভোট বীরভূমে। নির্বাচন কমিশনারের মাতে ৭২ ঘণ্টা আগেই সকল রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করতে হবে। তাই শেষবারের মতন বীরভূম বাসিকে চমক দিতে বিজেপি হয়ে প্রচার করলেন প্রখ্যাত অভিনেতা এবং বর্তমান বিজেপি কর্মী মিঠুন চক্রবর্তী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সাঁইথিয়া বিধানসভার প্রার্থী পিয়া সাহা,বোলপুর বিধানসভার প্রার্থী ডক্টর অনির্বাণ গাঙ্গুলী, এবং ময়ূরেশ্বর বিধানসভার প্রার্থী শ্যামাপদ মন্ডলের হয়ে সভা করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অন্যদিকে বিধানসভার প্রার্থী জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে নির্বাচনী সভা করলেন দিলীপ ঘোষ। রামপুরহাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানান হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন চলবে, বিহারেও কোভিডের মধ্যেও সুন্দর ভাবে ভোট হয়েছিল তাছাড়া যে যে রাজ্যগুলিতে কোভিড বেড়েছে সেইসব রাজ্যগুলোতে তো আর ভোট হচ্ছে না। যাতে কোভিড আর না বাড়ে তাই সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে। তবে যদি মনে হয় নির্বাচনের জন্য বেড়েছে কোভিড তাহলে রেস্ট্রিকশন করা উচিত।
অতএব অতিমারি আবহে নির্বাচন করানোর দায়ভার নির্বাচন কমিশনের উপরে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল কেবল তাদের ‘কাজ’টুকুই করছে। এখন ভালই ভালই ২ তারিখ সব মিটে যাওয়ার দিকেই আপাতত রাজ্যবাসী তাকিয়ে।
Social