দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় দুই শিশুকে জোর করে একটি মারুতি ভ্যানে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। এরপরই এলাকার মানুষ ওই গাড়িটিকে ঘিরে রাখলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। মারুতি ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় চার শিশু সহ দুই মহিলাকে। পরে অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে দুর্গাপুরের মেনগেট ও কাদারোড এলাকা থেকে শিশুদের কিনে এনে রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল অধ্যক্ষর। এজন্য শিশুদের মা-কে দেওয়া হয়েছিল লক্ষাধিক টাকাও।
সপ্তাহ খানেক আগে এই ভাবেই ন’মাসের একটি শিশুকে কাদারোড এলাকা থেকে এনে অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া জহর নবোদয় স্কুলেরই সুষমা শর্মা নামের এক নিঃসন্তান শিক্ষিকাকে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। অন্য দুটি শিশু সন্তানকেও একই ভাবে বিক্রি করার উদ্যেশ্যে সম্প্রতি স্কুল চত্বরে থাকা অধ্যক্ষর কোয়ার্টারে এনে রাখা হয় বলে অভিযোগ । পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জন শিশুকে উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির উদ্যেশ্যেই এই চক্রের জাল বিছিয়েছিল জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। শিশুগুলিকে যৌন হেনস্থা করা হত কিনা তা জানতে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও একজন শিক্ষিকা সহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করেছে। আজ তাঁদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হচ্ছে। এই চক্রে আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।।
Social