নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ আবারও মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ গয়েশপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাত্রাপাড়া ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বিগত তিন মাস যাবত মাটি মাফিয়াদের মস্তান বাহিনীর মস্তানিতে রীতিমতো আতঙ্কিত ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। মাটি মাফিয়াদের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মদত এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিগত তিন মাস ধরেই মাটি মাফিয়ারা রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি থেকে মাটি। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাদেরকে জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। একপ্রকার ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনকে বারংবার জানিয়েও যখন কোনো সুরাহা না মেলে। তখন গ্রামবাসীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের। এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে নির্দেশ আসা মাত্রই নড়েচড়ে বসে কল্যাণী প্রশাসন। তড়িঘড়ি মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে কল্যাণী প্রশাসন ঘটনাস্থলে যায় এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। মহকুমা শাসকের তদন্তে উঠে আসলো কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে। একাধিক নাম জোরালো শাসক দলের নেতৃত্বের। তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সহ বর্তমান সভাপতির নাম জোরালো। নাম জোরালো একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনা সামনে আসতেই প্রকাশ্যে বেরিয়ে এলো তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা। এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় বিষয়টি প্রশাসন জানতেন না বিষয়টা প্রশাসনের জানা থাকলে অবশ্যই অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত মাটি কাটার কাজ। কিন্ত এলাকার মানুষের দাবি প্রশাসনকে এর আগেও একাধিকবার জানানো হয়েছে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি প্রশাসনের মদত রয়েছে মাটি মাফিয়াদের পিছনে। মদত রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের এমনটাই দাবি এলাকার মানুষের। তবে মহকুমা শাসকের কাজে অনেকটাই খুশি এলাকার মানুষ। এখন দেখার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন প্রশাসন এই মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। নাকি দিনের-পর-দিন দরিদ্র চাষীদের জমি একের পর এক মাটি মাফিয়ারা গ্রাস করে নেবে। এই প্রশ্নটাও কিন্তু বারংবার উঠে আসছে । দরিদ্র পরিবারগুলো এখন তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসনের দিকে।
Social