মাউথ অর্গানের সুরে বন্দেমাতরম গান গেয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’-এ নাম তুলল ছোট্ট সৌমজিৎ

Burdwan Today
2 Min Read

বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ মাউথ অর্গানের সুরে বন্দেমাতরম গান গেয়ে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ হারমোনিকা শিল্পী হিসাবে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলল শান্তিপুরের এক কিশোর। কিশোরের এই সাফল্যে খুশির মেজাজে তার সাধারণ পরিবার। শান্তিপুর কামার পাড়ার বাসিন্দা উৎপল মণ্ডল পেশায় শাড়ির ডিজাইন তৈরি করে। সেই উপার্জন থেকেই সংসার চালানোর পাশাপাশি এগারো বছর বয়সী ছোট্ট সৌমজিৎ-এর পড়াশোনার খরচ থেকে শুরু করে সৌম্যর বিভিন্ন শখ পূরণ করে। গত এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শান্তিপুরের যুবক শাওন পালের মাউথ অর্গানের মাধ্যমে বিভিন্ন গানের সুর ছড়িয়ে যায়। বাড়িতে বসেই সৌম্যর মা ও বাবা মোবাইলে শাওনের মাউথ অর্গানের সুর শোনে। সেই থেকেই সৌম্যর বাবা ও মায়ের ইচ্ছে জাগে সৌম্য শাওনের কাছ থেকে মাউথ অর্গানের প্রশিক্ষণ নেবে। তারপর যোগাযোগ করে শাওনের সাথে। এক বছরের চেষ্টায় ছোট্ট সৌমজিৎ পৌঁছে যায় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। বুধবার কুরিয়ারের মাধ্যমে শান্তিপুর কামারপাড়া ঠিকানায় সৌম্যর বাড়িতে আসে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সার্টিফিকেট। ছোট্ট সৌম্যর এই সাফল্যে খুশির জোয়ারে মেতে ওঠে সৌমজিৎ-এর পরিবার। আজ সৌম্যর বাবা উৎপল মণ্ডল বলেন, মাত্র এগারো বছর বয়সে পড়াশোনার ফাঁকে ছেলের এই সাফল্যে গর্ভে বুক ভরে যাচ্ছে। যদিও ছোট্ট সৌম্যর ইচ্ছে আগামী দিনে আরো বড় ধরনের কিছু করার। এছাড়াও গিনেস বুক অব রেকর্ডস এ নাম তোলার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ ছোট্ট সৌম্য।

     ছোট্ট সৌম্যর মাউথ অর্গানের শিক্ষক শাওন পাল বলেন, সৌম্য যখন তার কাছে মাউথ অর্গান শিখতে এসেছিল তখন লক্ষ্য করা গেছে সৌম্যর বাঁশি বাজানোর দিকে বেশি লক্ষ্য। কিন্তু সৌমর বাবা-মা অনুরোধ করায় সৌম্যকে মাউথ অর্গানের সুর শেখানো হয়। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মাউথ অর্গানের সুর শিখে সৌম্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলতে সক্ষম হয়। আমি খুবই গর্বিত, যে আমার কাছ থেকে মাউথ অর্গানের সুর শিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ নাম তুলে শুধু তার পরিবার গর্ব বোধ করছে না করছে গোটা শান্তিপুর। ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা হারমোনিকা শিল্পী, ডক্টর ববিতা বসু এবং গৌরব, দাস সৌমজিৎ এর এই সাফল্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *