পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ করোনা ভাইরাস দমনে সরকারি নির্দেশিকার পর সমগ্র রাজ্য তথা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে বিধিনিষেধ যা বাড়িয়ে চলতি মাসের ১৫ আগষ্ট অবধি করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহর জুড়ে প্রতিনিয়ত অসচেতনভাবে কিছু মানুষকে রাস্তায় পথে ঘাটে জমায়েত ও মাস্কহীন ভাবে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। তথাকথিত ভাবে প্রশাসনের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা রাস্তায় মাস্কহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বারবার প্রশাসনিক ভাবে মাইক যোগে প্রচার করা ও ধরপাকর করা সত্বেও তারা এরুপ কাজ করে চলেছেন। এর মাঝে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের বেলবাড়ির বাসিন্দা এলাকার ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়ির সবজি বিক্রেতা কৃষ্ণ হালদার সচেতনতা পোস্টার লাগিয়ে অসচেতন মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো যে বিধিনিষেধ কিভাবে পালন করা দরকার সাথে সামাজিক দূরত্ব কিভাবে রাখা উচিৎ।
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বেলবাড়ি অঞ্চলের কৃষ্ণ হালদার নামে ভ্রাম্যমান সবজি বিক্রেতার এই অনন্য কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসীরা প্রসঙ্গত, গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে কিছু মানুষ প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরে ঘোরাফেরা করছে ও জমায়েত করছে। কিন্তু যেখানে সরকার বারবার সচেতনতার জন্য বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করতে নিষেধ করছেন সেখানে তারা বেশি করে করছেন। যার জেরে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সকলের দাবি প্রশাসন যেভাবে লকডাউনের শুরুতে লাঠি হাতে নেমেছিলেন তেমনটি পুনরাবৃত্তি হলে সকলেই শিক্ষা পাবে। তবে একজন সবজি বিক্রেতা হয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য সচেতনতা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার ভ্রাম্যমান সবজির গাড়িতে পোস্টার লাগিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে সেখানে শিক্ষিত সমাজের মানুষদের অসচেতনতার চিত্র যেভাবে বারবার ফুটে উঠছে সেখানে কিন্তু একটি প্রশ্ন চিহ্ন রেখে যায়। তবে বলাই বাহুল্য গঙ্গারামপুর শহরের বেলবাড়ির বাসিন্দা ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা কৃষ্ণ হালদারের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ ও কুর্নিশ জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা।
Social