সুপ্রিয় পরামানিক, আসানসোলঃ ছিল পিতলের রথ। কিন্তু চোরেরা তা চুরি করে নেয়। পুলিশি তৎপরতায় রথের কিছুটা অংশ উদ্ধার হলেও সেটা চলে যায় হিরাপুর থানার মালখানায়। আর তাই বহুবছর ধরে লোহার রথেই রথযাত্রা পালিত হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন মানিকেশ্বর মন্দিরে। শুধু তাই নয় ভিক্ষাবৃত্তি করে এই রথযাত্রা উৎসব পালন করেন মন্দিরের সেবাইত পুর্নিমা চক্রবর্তী। আসানসোল পৌরনিগমের একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলে দামোদর নদের ধারে অবস্তিত মানিকেশ্বর মন্দির। শ্রাবন মাস জুড়ে জল ঢালার জন্য শয়ে শয়ে ভক্তকূল আসেন মানিকেশ্বর মন্দিরে। এছাড়াও রথযাত্রা, জন্মাষ্ঠামী, দুর্গাপুজো সহ বিভিন্ন উত্সব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এই মানিকেশ্বর মন্দিরে। কিন্তু সেই খরচ ওঠে কি করে, মন্দিরের সেবাইত পুর্নিমা চক্রবর্তী জানালেন আসে পাশের গ্রামে আঁচল পেতে ভিক্ষা করেই তিনি সব অনুষ্ঠান, উৎসব চালিয়ে আসছেন। কিন্তু বয়স বেড়েছে পু্র্নিমা দেবীর। বেশী দূরে যেতে পারেন না। আসানসোল পৌরনিগম থেকে রথযাত্রায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। কিন্তু মানিকেশ্বর মন্দিরে সেই অনুদান পৌঁছায় নি। একবার আবেদন করে ৫ হাজার টাকা পেয়েছিলেন মাত্র। আর যাননি পুর্ণিমা দেবী। তিনি জানিয়েছেন যতদিন শরীর বল আছে আঁচল পেতেই ঈশ্বরের সেবা করে যাবেন।
পাশাপশি এই মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি ঐতিহ্য বাহি কদম গাছ। এই কদম গাছের ঐতিহ্য হলো যে বছরে একদিন এই গাছে কদম ফুল ফোটে আর সেই ফুল মানিকেশ্বর বাবার মাথায় চাপানো হয়। আর সেই দিন ওই দৃশ দেখার জন্য প্রচুর দূর দূরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম হয় মন্দিরে।
Social