বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ ভবানীপুরের জয়লাভের শেষে শান্তিপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শান্তিপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হলো শ্রী শ্রী বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী পরিবারের সদস্য ব্রজকিশোর গোস্বামীকে। শান্তিপুর হাটখোলা পাড়া বা এল কে মৈত্র রোডের বাসিন্দা আনন্দ কিশোর গোস্বামীর পুত্র ব্রজকিশোর গোস্বামী আচরণে যথেষ্ট রুচিবান, মার্জিত ও ধর্মগুরু বলেই সুপরিচিত। রাজনৈতিক দিক দিয়ে বিচার করে দেখতে গেলে দলের অনেক তাবর তাবোর নেতা নেত্রী বা সংগঠক থাকলেও তাদের উপনির্বাচনে টিকিট দিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একটি কারণ হলো অবশ্যই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও ২০১৬ এবং ২০২১ পরস্পর দুটি বিধানসভা নির্বাচনে এই শান্তিপুর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই শান্তিপুর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হারের নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এক অংশ। আর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে দলকে বাঁচাতে ব্রজকিশোর গোস্বামীকে শান্তিপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক সমালোচকদের এক অংশ ।
অন্যদিকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে অভ্যস্ত তৃণমূল , আর নিরিখে এই ধর্মগুরু তৃণমূলের নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রার্থী করে বিজেপির ও ধর্মীয় রাজনীতির মেরুকরণ রুখে দেবার রাজনৈতিক কৌশলী চাল চাললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক সমালোচকদের এক অংশের । তিনি জানান এদিন আড়াইটে নাগাদ তার এক বন্ধু তাকে ফোনে প্রথম জানান তিনি প্রার্থী হয়েছেন, সারাবাংলা ও বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে এমনকি দেশের বাইরেও তাদের অনেক শিয্য ছড়িয়ে রয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে তিনি বলেন তার বংশের সারা পৃথিবী খ্যাত ধর্মগুরু অদ্বৈত আচার্য্যর বহু মুসলমান শিষ্য ছিল। ধর্ম মানেই সকলকে নিয়ে চলা। তবে অনেক রথী-মহারথীকে পেছনে ফেলে রাজনীতির সাথে খুব বেশি যুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও কেন এই সিদ্ধান্ত সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, দিদি যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে শান্তিপুরের সামগ্রিক উন্নয়নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন সফল করায় আমার উদ্দেশ্য।
Social