নিখিল কর্মকার, নদিয়াঃ নদিয়ায় গলা কেটে এক যুবককে খুনের নাটকীয় মোড়। পুলিশের তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগকারী বোন নিজেই দাদার খুনের মূল অভিযুক্ত। গ্রেফতার অভিযুক্ত বোন এবং তার এক ঘনিষ্ঠ। নদীয়ার তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা এলাকার ঘটনা। বাদকুল্লা গাংনী এলাকার যুবক শমীক ভট্টাচার্য নিজের বাড়িতেই গত ১১ মে রাতে গলাকাটা অবস্থায় বিছানায় পড়েছিল। পরের দিন সকালে পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় তাহেরপুর থানায় একটি লিখিত খুনের অভিযোগ করেন তার নিজের বোন সাথী ভট্টাচার্য। পুলিশ বেশ কয়েক দিন ধরে তার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল এবং অন্যভাবে তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু সাথী ভট্টাচার্য যে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তাকে জিজ্ঞাসা করার পর তার কথায় অনেক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এরপরেই একাধিকবার তাকে জেরা করতেই সত্যতা সামনে আসে।
পুলিশ জানায় সাথী ভট্টাচার্য্য বিবাহিত থাকা সত্ত্বেও ওই এলাকার ভজন মিত্র নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর পাশাপাশি সাথী ভট্টাচার্য বিভিন্নভাবে লোন নেওয়ার কারণে দেনাই জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। সেই লোন শোধ করার জন্য তার দাদা শমীক ভট্টাচার্য-কে সে বারংবার চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তাতে তার দাদা রাজি না হওয়াতেই খুনের ষড়যন্ত্র করছিল সাথী ভট্টাচার্য এবং ভজন মিত্র। গত ১১ তারিখ রাতে স্বাতী ভট্টাচার্য সাহায্যেই ভজন মিত্র শমীক ভট্টাচার্যকে একটি চাকু দিয়ে গলা কেটে খুন করে বলে জানা যায়। এরপরেই প্রথমে অভিযুক্ত সাথী ভট্টাচার্য এবং পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভজন মিত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের আদালতে তুললে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
Social