বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার (যা বেশ খানিকটা নদীয়ার মধ্যে পড়ে) সভানেত্রী উত্তরা বাউড়ি ও কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকে বহিস্কার করা হয়েছিল তাদের পদ থেকে। বুধবার রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা সভানেত্রী উত্তরা বারুরীকে বহিষ্কার করে চিঠি পাঠায়। অন্যদিকে জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকেও তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাজ্য সভাপতি চিঠি পাঠিয়েছেন তাকে। তৃণমূলের সাথে গোপন যোগাযোগ দলীয়ভাবে তদন্তে প্রমাণিত হবার পর রাজ্য বিজেপির নির্দেশে দুজনকেই পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এই বহিষ্কারের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই, নদীয়ার কল্যাণীতে রানাঘাট সাংগঠনিক তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ কর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, এছাড়া জেলার বিভিন্ন তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কল্যাণী বিধানসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা, ব্লক এবং বুথ স্তরের দুই হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বলেই দাবি করেন তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ কর।
এদিন কল্যাণী আইটিআই মাঠে যোগদানের এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে কল্যাণী ঋত্বিক সদনে অনুষ্ঠিত হয় । যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, কল্যাণী বিধানসভার বেশিরভাগ অংশই ওপার বাংলার মানুষের বসবাস, তাদেরকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে নিঃশর্ত নাগরিকত্বর লোভ দেখিয়েছিলেন, পরবর্তীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, বিপদে পাশে থাকার দৃষ্টান্ত দেখে ক্রমশ তৃণমূলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন তারা।
উত্তরা বাউড়ি যোগদান প্রসঙ্গে জানান, প্রায় ছয় বছর ধরে দুটি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি, মহিলারা কোন সাংগঠনিক ক্ষমতায় থাকুক তা পছন্দ করে না বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে মহিলারা অবাঞ্চিত অত্যাচারিত মুখ্যমন্ত্রী দল-মত নির্বিশেষে যেভাবে মানুষের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন, আমফান হোক বা করোনা পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় গর্বিত সকলেই, তাই আগামী দিনে শুধু বাংলায় নয় ভারতের দিশা দেখাবেন তিনি এবং তার পাশে থাকে তার হাত শক্ত করতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।
Social