পুলিশকে লাথি মেরে পালিয়ে গেল আসামি, অবশেষে জীবনের বাজি রেখে তাকে ধরল সিভিক ভলেন্টিয়ার

Burdwan Today
2 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পুলিশকে লাথি মেরে পালিয়ে যাওয়া মার্ডার কেসের আসামিকে জীবনের বাজি রেখে ধরলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার, ঘটনায় ভাতারে ব্যাপক চাঞ্চল্য। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে শাশুড়িকে খুনের দায়ে ধৃতকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে গিয়ে পুলিশকে লাথি মেরে পালিয়ে যায় ওই আসামী। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রায় ২ ঘন্টা পর ভাতার থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ধরে ফেলে ওই আসামীকে। 

গতসপ্তাহে ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে  লীলা আগরওয়াল(৪৪) নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে বোঝা যায় তাকে খুন করা হয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মৃতার জামাই প্রসেনজিৎ দলুই(২৭)কে।  গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলার পর  পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওই আসামীকে  স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। আসামির সঙ্গে  ছিলেন  নরেশ সোনার ও ভাস্কর ঘোষ  নামে দুই পুলিশকর্মী এবং মিঠুন চন্দ্র সাঁতরা নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষ করে আসামিকে গাড়িতে তোলার সময়  নরেশবাবুকে জোরে একটা লাথি মেরে  পালায় প্রসেনজিৎ।  কাঁটার গ্রামের ভিতর দিয়ে ছুটে পালাতে থাকে আসামি। পুলিশও তাড়া করে তাকে। শেষে কাঁটারি গ্রাম পেড়িয়ে ফাঁকা মাঠে একটি পোলট্রি ফার্মের কাছে ধরা পড়ে যায় ওই আসামি। জীবনের বাজি রেখে ওই আসামিকে ধরতে গেলে জোরে নখ দিয়ে আঁচড়  বসায় সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠুন চন্দ্র সাঁতরার  হাতে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠুন চন্দ্র সাঁতরার হাতে চোট পায়। তাকে চিকিৎসা করা হয় ভাতার ব্লক হসপিটালে।

ভাতার থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে একটি কেস করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *