Breaking News

নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম এলেন রাজ্যপাল, কান্নায় ভেঙে পড়ল আক্রান্ত পরিবারগুলি !


টুডে নিউজ সার্ভিস, নন্দীগ্রামঃ
প্রায় ১৪ বছর পর নন্দীগ্রামে দ্বিতীয়বার পা রাখোলেন কোনও রাজ্যপাল। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসে বিধ্বস্ত ‘হটস্পট’ নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখতে শনিবার কপ্টারে চেপে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর আগে ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর জমি আন্দোলনে বিধ্বস্ত নন্দীগ্রামের এসেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। স্বাভাবিক ভাবেই সেদিনের মতো বর্তমান রাজ্য সরকারও রাজ্যপালের সফর ঘিরে মোটেই খুশী নয়। কাকতালীয় ভাবে সেদিনের বিরোধী দল তৃণমূল এখন রাজ্যের শাসক দল।  

এবার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নন্দীগ্রামও ব্যাপক সন্ত্রাসে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ৩ মে হামলায় জখম চিল্লোগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্ররত মাইতি গতকাল কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এবার এলেন রাজ্যপাল ধনকড়।

শনিবার সকাল ৯.৪০টা নাগাদ নন্দীগ্রামের হরিপুরে পৌছানোর পর তাঁকে অভিবাদন জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর সড়ক পথে একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান রাজ্যপাল। প্রথমে তিনি দক্ষিণ কেন্দেমারীতে যান। এরপর বঙ্কিম মোড়, চিল্লগ্রাম, নন্দীগ্রাম বাজার, টাউন ক্লাব সহ আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। তারপর জানকীনাথ মন্দীরে পুজো দিয়ে নন্দীগ্রাম ছাড়েন তিনি।

রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। গোটা এলাকা পরিদর্শনের পর ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল তৃণমূল সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন। জগদীপ ধনকড় জানিয়েছেন, কিলিং, এক্সটরশান, রেপ এগুলোকে ডেমোক্রেসী বলে না। আমি জানি রাজ্য এই মুহূর্তে কোভিড ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সরে রাজ্য নির্বাচন পরবর্তী হিংসার মধ্যে দিয়েও যাচ্ছে। আমি ১০ দিন অপেক্ষার পর সিদ্ধান্ত নিলাম যে প্রশাসন যে ভাবে হাত গুটিয়ে বসে আছে তা মেনে নেওয়া যায় না। একই রাজ্যের মধ্যে কেন এই রাজনৈতিক অশান্তি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন কোভিডের বিরুদ্ধেও লড়ুন সেই সঙ্গে রাজ্যের লক্ষাধিক মানুষের দুঃখের কথাটাও ভাবুন। ভোট পরবর্তী হামলা কেন হবে? এখন পর্যন্ত কি পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তা নজরে আসছে না। যারা আগুন লাগিয়েছে, মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, মহিলাদের ওপর ধর্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধে কিছুই ব্যবস্থা নেবেন না? মানুষের অপরাধ তাঁরা ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন, এটা হতে পারে না।

About Burdwan Today

Check Also

ছাত্রের সঙ্গে বিয়ে! ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন অধ্যাপিকা

https://youtube.com/watch?v=DtKkoXN83Go%3Fsi%3Duq8Tf9oKtBf_HpoM https://youtu.be/DtKkoXN83Go?si=jCn7axQlgKt47XXr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *