টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকের বাসিন্দা তরুণ ক্ষেত্রপাল মঙ্গলবার রাধাকান্তপুরে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তাকে মেমারি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে রোগী নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের চালক বর্ধমান মেডিকেল কলেজের রোগী না নিয়ে এসে, জোর পূর্বক শহরের নবাবহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করিয়ে দেয়। দুপা ভাঙ্গা অবস্থায় দুদিন হাসপাতালে থেকেও কোনও চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রোগীর ছেলে বসন ক্ষেত্রপাল।
তিনি বলেন, আমরা লেখাপড়া জানিনা। অ্যাম্বুলেন্স চালক জোর করে, ওখানে ভর্তি করিয়ে দেয়। আমাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে, আমরা ভেবেছিলাম চিকিৎসায় সেভাবে খরচ হবে না। কিন্তু চিকিৎসা না পাওয়ার পর, আমরা যখন রোগী ছাড়াতে যাই ৪৩ হাজার টাকা চাওয়া হয় এবং আমরা যখন সেটা দিতে পারবো না বলি আমাদেরকে আটকে রাখা হয়, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।এ বিষয় রোগীর পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এদিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, অবশ্যই তদন্ত করা হবে। পাঁচ হাজার টাকাও দেওয়া উচিত হয়নি। কেন এভাবে রফা হবে? আমাদের কাছে আগে আসা উচিত ছিল। সমস্ত নার্সিংহোমের সাথে বসব, সরকারি নিয়ম নির্ধারণ অনুসরণ করতে বলা হবে।
নার্সিংহোমের ম্যানেজার বলেন, রোগীর পরিবার ভর্তি করার সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই বলেই আমাদের জানিয়েছে। আমাদের এখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য সাথীর রোগীদের পরিষেবা দিতে পারিনা, ওনাদের সেটা জানিয়েছিলাম। ৩১ হাজার টাকা বিল করেছিলাম আমরা।
Social