বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ সোমবার ভোর রাত্রে ছত্রিশগড়ে সুকমায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে জোয়ানের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ৫০ নাম্বার ব্যাটেলিয়নের চার জোয়ান ও আহত একাধিক। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত জওয়ানদের মধ্যে একজন নদীয়ার দেবগ্রামের বাসিন্দা রাজীব মন্ডল। সূত্রের খবর মানসিক অবসাদের জেরে সিআরপিএফের এক জোয়ানের এলোপাথাড়ি গুলি। সিআরপিএফ ৫০ নম্বর ব্যাটালিয়নের চারজনের মৃত্যু হয় তার মধ্যেই একজন নদীয়ার দেবগ্রামের রাজীব মন্ডল। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন রাজীব মন্ডল। ছুটি কাটিয়ে অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। রাজীব ছোট থেকেই মেধা ও ভালো দৌড়বীর ছিল। ভালো দৌড়বীর-এর কারণেই জেলাস্তরে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। দেবগ্রামের বিদ্যাপীঠ নামে এক স্কুল থেকেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। ছোট থেকে কঠোর মেহনতী ছেলে ছিল রাজীব। ২০১০ সালে প্রথম পোস্টিং পান কাশ্মীরে তারপর বিশাখাপত্তনম হয় পোস্টিং হয় ছত্রিশগড়ে। ছত্রিশগড়ে মাত্র দেড় মাস মত কাজ করেছেন। গত ১৮ অক্টোবর কাজে যোগদানের পর আজ সকাল সাতটা নাগাদ আচমকাই সিআরপিএফ হেড অফিস থেকে ফোন আছে রাজীবের পরিবারের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই জ্ঞান হারায় রাজীবের মেজ ভাই। তারপরেই খবর জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার।
পরিবারের দাবি রাজীব ছিল অসাধারণ সন্তান। তাকে হারিয়ে পরিবার যেমন শোকাহত শোকাহত গোটা দেবগ্রামের মানুষ । রাজীবের স্ত্রী সুলেখা মা হানিফা এবং রাজিব এর পিতা মুজিবর এছাড়াও রয়েছে দুই দাদা। বড় দাদা গ্রামীণ দাঁতের ডাক্তার, মেজো দাদা গৃহ শিক্ষকের কাজ করেন। রাজীব ছিল পরিবারের ছোট ছেলে। রাজীবের অকস্মাৎ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সন্তানহারা মায়ের কান্না ও সন্তানহারা কষ্টের আর্তনাদ পিতার।
Social