বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বেকার যুবক যুবতীরা গ্রুপ ডি চাকরির জন্য আবেদন পত্র জমা করেছিলেন এবং ২০১৭ সালে সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন বেকার যুবক যুবতীরা। পরীক্ষার পর রেজাল্ট ঘোষণা হয় ২০১৮ সালে।আর সেই থেকেই উর্ত্তীন্ন ছাত্রছাত্রীরা আজও রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলনে নামছেন বারংবার চাকরির দাবিতে। সরকারি নিয়ম মেনে পরীক্ষা হয় ফলাফল প্রকাশ হয় হয়না নিয়োগ।আর সেই নিয়োগের দাবিতে একাধিকবার জেলাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন জমা করলেন গ্রুপ ডি চাকরির পরীক্ষায় উর্ত্তীন্ন বেকার যুবক যুবতীরা। তারা একাধিকবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সামনে ধর্নায় বসে ছিলেন কলকাতার রাজপথে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিনিময়ে পেয়েছিলেন পুলিশি গ্রেপ্তারি কিন্তু মেলেনি চাকরির নিয়োগপত্র। তাই তারা এই বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেও পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে বারংবার তারা চাকরির দাবিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সামনে কখনও আন্দোলন করছেন আবার কখনও ডেপুটেশন জমা করছেন জেলাশাসকের নিকট।
সোমবার তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন প্রতিটি নির্বাচনের আগেই একাধিক প্রতিশ্রুতি তারা পেয়েছেন সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার তাদের বিষয়টি নিয়ে কর্ণপাত করলেন না। তাই তারা দাবি করেন অবিলম্বে তাদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। তাদের দারিদ্রতা দূর করতে হবে। চাকরির অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই অনেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সের সীমা থাকে তা অনেকদিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আগামীতে কোনো চাকরির পরীক্ষায় তারা আর বসতে পারবে না। তাই তারা অবিলম্বে নিয়োগ চাইছেন। রাজ্য সরকারের একাধিক কার্যালয় গ্রুপ ডি-র কর্মী ফাঁকা রয়েছে একাধিক কর্মী প্রয়োজন। তাই তারা দাবি করছেন বারংবার অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে তাদেরকে।এছাড়াও এদিন তারা হুঁশিয়ারি দিলেন অবিলম্বে তাদের চাকরিতে নিয়োগ না করলে আগামী দিন গোটা রাজ্য জুড়ে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।
Social