নিখিল কর্মকার নদীয়াঃ করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বাড়তি স্বাস্থ্য সচেতনতা গ্রহণ করার পাশাপাশি জনসংযোগ এড়িয়ে চলতে এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষজনকে। কিন্তু ভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে তথাকথিত দৈনন্দিন লোক সামাজ থেকে একেবারে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে নদী পার্শ্ববর্তী জঙ্গল ঘেরা ফাঁকা এলাকায় গাছের উপর ঘর বেঁধে বসবাস করার নজিরবিহীন এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো নদীয়ার নবদ্বীপের মানুষজন।
শ্যামল দাস নামে এই সাধু পূর্বে রানীর চড়া এলাকার একজন নামকরা কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর পরিবারে স্ত্রী রয়েছেন তিনি ওই এলাকাতেই নিজের বাড়িতে বসবাস করেন। সাধুবাবার মেয়েরা বিবাহসূত্রে থাকেন বাইরে। ধর্ম কর্মে মনোনিবেশ করার পর আনুমানিক ১৫ বছর যাবৎ তিনি সংসার ত্যাগ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধর্মস্থান পরিদর্শন করার পর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভাগীরথী নদীর ধারে গাছের উপর ঘর বানিয়ে একান্তে বসবাস শুরু করেন তিনি। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের অন্ন সংস্থান করেন এই সাধু বাবা। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সপ্তাহে একদিন করে তিনি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হন বলে এইদিন জানান সাধু বাবা।
এছাড়াও আশেপাশের বসবাসকারী মানুষজনদের সাহায্যে তাঁর দিন চলে বলেও জানান সাধু বাবা। এছাড়াও মারনব্যাধী করোনা ভাইরাস থেকে সমাজকে মুক্ত করতে নিভৃতে থেকে তিনি ভগবানের দুয়ারে সাধনা করে চলেছেন বলেও এই দিন জানান সাধু বাবা।।
Social