কাউন্সিলের সই ও সিলমোহর নকল করে রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের পর্দা ফাঁস

Burdwan Today
2 Min Read

 

সুপ্রিয় পরামানিক, দুর্গাপুরঃ   কাউন্সিলরের সই এবং সীলমোহর নকল করে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলারের আত্মসহায়কের  বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর পৌরনিগমের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

পৌরসভা সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের ২১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভূঁই-এর সই এবং সীলমোহর নকল করে স্থানীয় যুবক উৎপল রায়। যিনি সিপিআইএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর অধীর চৌধুরীর আত্মসহায়ক ছিলেন বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

স্থানীয় পৌর মাতা সুস্মিতা ভূঁই জানান, ওয়ার্ড থেকে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা দরখাস্ত করে দুটি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগমে। সেই দরখাস্তের স্কুটনি চলার সময় জাল সই এবং সিলমোহর নকল বলে ধরা পরে। আবেদনকারী সুস্মিতা দাস এবং দীপিকা দাস এর প্রায় দশ বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে। প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলরের আত্মসহায়ক উৎপল রায় টাকা আত্মসাৎ করার জন্য জাল চক্রের ফাঁদ তৈরি করেছে।

দুই সন্তানের মা পেশায় পরিচালিকা দীপিকা দাস বলেন, ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে রূপশ্রী প্রকল্পের অন্তর্গত এমনটাই জানিয়েছিলেন সম্পর্কে পাড়ার মামা উৎপল রায়। প্রাপ্ত অর্থের থেকে ১৪ হাজার টাকা তারা আমায় দেবে এবং বাকিটা নিয়ে নেবে এমন প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভুল কাজ করেছি। স্বামী পেশায় সবজি বিক্রেতা লকডাউনে সংসার চলে না।

নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে উৎপল রায় দাবি করেন, সমাজ সেবা করার উদ্দেশ্যেই রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা গরিব পরিবার দুটিকে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এর আগেও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কাজ করেছি। তবে এর জন্য কোন অর্থ দাবী করিনি কখনও।

ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র দিলীপ অগস্থি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর সুস্মিতা ভূঁই।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *