Breaking News

কলেজের সেই স্বপ্নের দিন গুলি আর ফিরে আসবে না…

চিত্রঃ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত

রিক চক্রবর্তী, বর্ধমানঃ কলেজ লাইফের শেষ পরীক্ষা দেবার পর আর হয়তো কোনদিন একসঙ্গে এইভাবে পরীক্ষার জন্য দেখা হবে না। কিন্তু কলেজের সেই ১.৫ বছর আমাদের সবার মনে একটা অনেক বড় জায়গা নিয়ে থাকবে সারাজীবন। আর কোনোদিন কলেজের ভেতরে ক্যান্টিনে বসে মস্তি করতে পারবনা সবার সঙ্গে, জল ছুড়তে পারব না তোদের গায়ে, মাঠে বসে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, ঘুড়ি ওড়াতে পারব না, স্যারদেরকে নিয়ে আর ইয়ার্কি মারতে পারব না, মেয়েদেরকে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ইয়ার্কি মারতে পারব না, কলেজ থেকে টিফিনে বেরিয়ে পুরো বর্ধমানে ঘুরে আসতে পারব না, কলেজ যাচ্ছি বলে ভ্লগ করতে যেতে পারব না…. আরও কতকিছু আর কোনদিন করতে পারব না। আরেকটা কথা না বললেই নয় এক বন্ধু আরেক বন্ধুর মাথায় চড় মারা তার আবার একটা আমি নাম দিয়েছিলাম “ক্যারাটে মার“, বন্ধুদের কলেজে একটা অন্য নামে ডাকা। আর ফোন আসবে না এই বলে, কিরে আজ কলেজ যাবি ? আজ ক্লাস করবি? কখন কলেজ যাবি? যাবার সময় একসঙ্গে যাব। সত্যি আগে মনে হত কবে বড় হব, বড় হলে আর পড়তে হবে না, আর এখন মনে হচ্ছে সেই ছোট জীবনটাই ভালোই ছিল। 

সত্যি বলতে আমরা কলেজ লাইফটা আনন্দ করতেই পারলাম না, লকডাউনে সব শেষ হয়ে গেল, তিনটি বছর যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে সেটা ভাবিনি। যাক আর কি করা যাবে, সবাই এরপর হয়তো আরও পড়বে, কেউ কাজ করবে, সবাইকে তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল। সবাই অনেক বড়ো হ, ভালো থাক, সাবধানে থাক, ভালো করে পড় বা কাজ কর। আবার কবে যে সবার সঙ্গে দেখা হবে জানিনা। স্কুল জীবন শেষ হবার পর একটা আশা ছিল তোদের সাথে দেখা হবার সেটা ছিল কলেজ, আজ আর সেই আশাটাও থাকল না। সত্যিই কলেজের সেই সব দিনগুলি আর ফিরে আসবে!

About Burdwan Today

Check Also

কার্তিক লড়াইকে ঘিরে জমজমাট কাটোয়া

রাহুল রায়, কাটোয়াঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের সকলের কাছে সব থেকে বড় পুজো হল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *