নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে কৃষ্ণনগর মহকুমা শাসকের দপ্তরে পৌঁছে নমিনেশন পত্র জমা দিলেন নদীয়ার চাপরা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী জেবের শেখ। চাপরা বিধানসভা এলাকায় কঠোর তৃণমূল পন্থী নেতা জেবের শেখের পরিবর্তে চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর থেকেই দফায় দফায় বিধানসভা এলাকায় দলীয় মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে জেবের শেখকে প্রার্থী করার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় জেবের অনুগামী দের। কিন্তু প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানে অনড় জেলা তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টি মেনে না নিলে পরবর্তী সময়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন জেবের শেখ। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুগামীদের সাথে নিয়ে রীতিমতো শোভাযাত্রা করে কৃষ্ণনগর মহকুমা শাসকের দপ্তরে এসে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন চাপড়ার এই প্রথম সারির তৃণমূল নেতা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সহ তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের প্রার্থী তথা চাপড়ার দুই বারের বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে পরাজিত করে তাকেই নির্বাচিত করবেন চাপড়ার আপামর জনসাধারণ বলে আশাবাদী জেবের বাবু। জয়ের পর তা তিনি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে উৎসর্গ করবেন বলে দিন জানান জেবের সেখ। মূলত বিজেপি কে পরাস্ত করে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয় শিরোপা পাইয়ে দিতে তার এই সিদ্ধান্ত বলে এইদিন জানান তিনি। কারণ রুকবানুর রহমান চাপড়ার মাটিতে বহিরাগত, তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বলে জয়লাভ করার পর বিধায়ক হিসেবে দশ বছরে সেই অর্থে জনসংযোগ গড়ে তুলতে পারেননি বিধানসভার অভ্যন্তরে।
পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে আইএসএফ প্রার্থী দেওয়ার কারণে মুসলিম ভোট আইএসএফ এর দিকে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। মূলত ভোট কাটাকাটি হয়ে বিজেপি’র জয়ের পথ আটকাতে ও তৃণমূল কংগ্রেসকে পুনরায় চাপড়ার মাটিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসার কারণেই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দিন জানান জেবের বাবু।
Social