বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ জগদ্ধাত্রী পূজার সাং শোভাযাত্রা করার অনুমতি দিতে হবে প্রশাসনকে, মূলত এই দাবীতে কৃষ্ণনগরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পূজা উদ্যোক্তা সহ স্থানীয় মানুষজন। অবরোধের জেরে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে অবরোধে আটকে পড়ে এক অ্যাম্বুলেন্স। আর সেই অবরোধে জেরে আম্বুলান্সের মধ্যেই মৃত্যু হল সাত বছরের এক শিশুর। বুধবার ভোর রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।
সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য এবছর কৃষ্ণনগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করা ও সাং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নদীয়া জেলা প্রশাসন। আর প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ঘট বিসর্জন শোভাযাত্রা ও সাঙ করতে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার রাত থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পি ডাবলু মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পুজো উদ্যোক্তারা। আভিযোগ, সেই অবরোধে বিভিন্ন যান বাহনের সাথে আটকে পড়ে মালদা থেকে কলকাতাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স। মালদার বাসিন্দা সাকিবুল শেখ নামের এক অসুস্থ শিশুকে নিয়ে তার পরিবার কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণনগরে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে তাদের অ্যাম্বুলেস্ন ও সেই অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মৃত্যু হয় বছর ৭ এর সাকিবুলের।
এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ ও কৃষ্ণনগরের পূজা উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি শুধু মাত্র ঐতিহ্যের নামে ঘট ভাসানের উন্মাদনার কাছে মানুষের প্রানের কোনো দাম নেই ? এর উত্তর কি দেবে পূজা উদ্যোক্তারা প্রশ্ন রয়েই গেল। যদিও এই ঘটনার পর পুলিশ বেশ কয়েকজন পূজা উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করেছে।।
Social