বিশ্বজিৎ দাস, নদীয়াঃ তৃণমূল দল না করার অভিযোগে এক গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরসহ ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল মদ্যপ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় নদীয়ার কৃষ্ণনগর এক নম্বর বিধানসভা কেন্দ্রের দিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হাতিশালা গ্রাম এলাকায়। অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যায় দিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমরজিৎ বিশ্বাস মদ্যপ অবস্থায় হাতিশালা গ্রাম এলাকার একটি অঞ্চলে ঢুকে অকারনে এলাকার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং ভেঙে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক মিটার বক্স থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সরবরাহে উপযোগী প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। অভিযোগ, এলাকাটি অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেলে, কি কারনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলো তা জানতে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় মহিলারা।
এরপর এলাকাবাসী মারফত খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রতিনিধিরা বিদ্যুৎ সংযোগ করতে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত হন পঞ্চায়েত প্রধান সমরজিৎ বিশ্বাস। অভিযোগ, এরপর তিনি তৃণমূল দল করতে হবে এবং তাঁর সাথে থেকে দলীয় কর্মসূচিতে বাধ্যতামূলকভাবে যোগদান করতে হবে, এই দাবী তুলে ওই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দা সহ কয়েকজন মহিলাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন। এমনকি তাঁর হাত থেকে রেহাই পায়নি বিদ্যুৎদপ্তরের কর্মীরাও। পাশাপাশি প্রতিবাদ করতে গেলে মহিলাদের কাপড় টেনে ছিঁড়ে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই ঘটনায় জড়িত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমরজিৎ বিশ্বাসের সাথে হাত মিলিয়ে এলাকাবাসীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে প্রধান ঘনিষ্ঠ স্থানীয় সুফল বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে অমিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এছাড়াও এলাকায় বসবাস করতে গেলে প্রধানের কথা অনুযায়ী চলতে হবে, এবং দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে হবে, না হলে এই এলাকায় তাদেরকে থাকতে দেওয়া হবে না বলে এই দিন এলাকাবাসীদের কার্যত হুমকি দেন সমরজিৎ বাবু।যদিও বিষয়টি জানতে গেলে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সম্পূর্ণ ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সমরজিৎ বিশ্বাস। ঘটনার পর এই দিন রাতে অভিযুক্ত প্রধান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় আক্রান্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
Social