নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের চিনিকল থেকে ছাড়া বর্জ্য জলে দূষিত হচ্ছে চূর্ণী নদীর জল। বছরে দুই থেকে তিনবার এই বর্জ্য জল ছাড়া হয়।যার ফলে চরম বিপাকে পড়েন চূর্ণী তীরবর্তী অঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দা। জল দূষিত হওয়ার কারণে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হয়, যার ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী বসতি এলাকায় টেকা দায় হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বর্জ্য জল ছাড়ার কারণে চূর্ণীর জলে স্নান করা যায় না। আর যে সমস্ত ব্যক্তি তাদের অভ্যাসবশত নদীতে স্নান করেন। তাঁদের গায়ে দেখা দেয় মারাত্মক চর্মরোগ। ভুগতে হয় মাসের পর মাস। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জল ছাড়া বন্ধ হওয়ার বিষয়ে দরবার করা হলেও আজও পর্যন্ত কোনরকম সুরাহা মিলেনি প্রশাসনিক স্তর থেকে বলে অভিযোগ নদীয়ার রানাঘাট শহরের চূর্ণী নদী পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের। যার ফলে এই বর্জ্য জল ছাড়ার পর নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের।