নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ নতুন ট্রেড লাইসেন্সের অনুমতি নিতে গিয়ে বা পুরনো লাইসেন্স নবীকরণ করতে গেলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ দাবী করার অভিযোগ উঠল নদীয়ার রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে দীর্ঘ লকডাউনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায় অভূতপূর্ব আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের, যার ফলে নিজেদের রুটি-রুজির স্বার্থে ভগ্নপ্রায় ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থা ও ব্যাংক মারফত ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে ঋণ মনজুর করাতে নতুন ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সের অনুমতি নেওয়া বা পুরনো লাইসেন্সের নবীকরণ করাতে গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকছে না ব্যবসায়ীদের কাছে। যার সুযোগ নিয়ে রীতিমতো নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি নির্দেশ কে অবমাননা করে আবেদনকারী ব্যবসায়ীদের থেকে নতুন ট্রেড লাইসেন্সের অনুমতি দেওয়া ছাড়াও পুরনো লাইসেন্সের নবীগণের ক্ষেত্রে এইবার অতিরিক্ত অর্থ দাবি করার অভিযোগ উঠল রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে জানতে গেলে সম্পূর্ণ দায়ভার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল ঘোষের উপর চাপিয়ে দিতে দেখা গেলো দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মীদের। তবে নিয়মবহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক নয়, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের সার্বিক উন্নতি স্বার্থে আবেদনকারীদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনুরোধ করা হয় বলে আক্ষরিঅর্থে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে মেনে নিতে দেখা গেল হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল ঘোষকে।
আবেদনকারীর সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চাইতে অনেক কম মূল্য ধার্য করা হয়, পাশাপাশি যেসব আবেদনকারী আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করে দেয়া হয় বলেও এই দিন দাবি করেন পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তারঁ কাছে কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের ভিডিও। তবে পরবর্তীকালে যদি কোন অভিযোগ আসে তাহলে সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবার আশ্বাস দিয়েছেন রানাঘাট এক নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।
Social