তারকনাথ সিট, মুর্শিদাবাদঃ বহরমপুরে কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুর্শিদাবাদ জেলা সাগরদিঘী এলাকায় যে জাল আধার কার্ড ও রেশন কার্ড ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে প্রশাসন জানেনা এমন হতে পারে না মুর্শিদাবাদের পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও এই ধরনের ব্যবসা শুরু হয়েছে। মানুষ মমতা ব্যানার্জি-র সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে সরকারের উচিত বাংলায় সু-শাসন দেয়া।
এদিন অধীর চৌধুরী জানান, সরকার লোক দেখানো কাজ করছে ৩২০০০ চাকরি হবে কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ সবকিছু গল্প চলছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছে হাইকোর্ট দিচ্ছে না আমি কি করব। তার বক্তব্য আপনি নন্দীগ্রাম নিয়ে ও যে কোন বিষয় সুপ্রিম কোর্ট চলে যাচ্ছেন আপনি কেন চাকরির ব্যবস্থা করছেন না ঠিক তখনই অজুহাত দেখিয়ে বলবেন, হাইকোর্ট করতে দিচ্ছে না আর কতদিন এভাবে চলবে।
মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ এই নিয়ে অধীর চৌধুরী আরও জানান, জেলা পরিষদের কাজ হয়না অকাজ হয়। জেলা পরিষদকে বলা হয় স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ হচ্ছে জেলা পরিষদ রাস্তাঘাট পানীয় জল সবকিছুই জেলা পরিষদ। সব সময় টেন্ডার কবে হবে আর সেই ট্রেন্ডারটা থেকে কে কত টাকা ভাগ পাবে সেটা দেখতেই তারা ব্যস্ত এখানকার জেলা পরিষদ এই ভাবেই চলছে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে উন্নয়ন থেকে রাস্তাঘাট হচ্ছে না প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না বহু প্রকল্প আটকে আছে। এখানকার জেলা পরিষদ “হেড লেস চিকেন”, এখানকার জেলা পরিষদের হাল তাই।
বহরমপুর শহরের দিনদিন জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শহরের আবর্জনা অনেক বেড়েছে সবচেয়ে বড় সমস্যা ভাগাড় যেটি কাশিমবাজার এলাকায় অবস্থিত দীর্ঘদিন ধরেই বহরমপুরের আবর্জনা সেখানে পাহাড় আকৃতি ধারণ করেছে। গতবছর পি এ সি চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরীর তত্বাবধায়নে বহরমপুরে আধিকারিকদের নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তাদের এই ঘটনার কথা বলা হয়েছে এই এলাকার যারা মানুষ আছেন অসুখে ভোগেন। প্রাচীনতম জায়গা এটি একটি ঐতিহাসিক এলাকা এই এলাকায় ভয়ঙ্কর আবর্জনার স্তুপ বাতাবরণ ও জীবন বিপর্যয় করে তুলেছে আগেই বলা হয়েছিল সলিদ ওয়েব ম্যানেজমেন্ট থেকে এই আবর্জনা থেকে সার তৈরি হবে কংগ্রেস যখন বহরমপুর পৌরসভায় দায়িত্বে ছিল লালবাগ। ৩২ বিঘা জমি নেওয়া হয়েছিল যেখানে আবর্জনা থেকে সার তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছিল এবং এখানে কোন বিনিয়োগ করলে অনেকেই কাজ করার সুযোগ পেতেন কিন্তু এখনো সেই জায়গা ফাঁকাই পড়ে রয়েছে সেখানে নগর উন্নয়ন দপ্তর কোন লক্ষই দিচ্ছে না।
Social