নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ করোনা পরিস্থিতিতে, দীর্ঘদিন বন্ধ বিভিন্ন দোকান! নিয়মিত সংসার খরচ যোগাতে, মূলধন ভাঙ্গা পড়ে গেছে বেশিরভাগ দোকানদারদের। আর তারই কারণে, আরো একবার ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা রয়েছে প্রত্যেকেরই! এক্ষেত্রে প্রধান প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা বা ঋণ গ্রহণ। বাড়িতে বসেই অনলাইনে, নানান তথ্যের মধ্যে থেকে অতি পরিচিত বিশ্বাসযোগ্য সুনামের সাথে ঋণদানের সংস্থা খুঁজে বের করেন, গয়েশপুর পৌরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণী বিধান পল্লীর সন্তু পাল। গত এক মাস আগে দু’লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য অনলাইনে আবেদন করেন সে ! এরপর তাকে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা গুলি বন্ধ, এমত অবস্থায় লোন পেতে গেলে স্পেশাল এনকোয়ারি বাবদ জমা করতে হবে ২৫৫০ টাকা, শত অসুবিধা সত্বেও তিনি তা জমা করেন অনলাইনেই ! এরপর একটি রিপ্লাই মেসেজ আসে, দু’লক্ষ টাকার জিএসটি বাবদ ৯৫০০ টাকা জমা করতে হবে।
একপ্রকার অপারক হয়ে এবং সন্দেহবশত কারণে তিনি, ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কল্যাণী শাখায় যোগাযোগ করেন। যাবতীয় মোবাইল নাম্বার কথোপকথন এবং টাকা পাঠানোর অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই ব্যবসায়ী যুবককে জানিয়ে দেয় তাদের সাথে মূল ব্যাংকের কোন জোগসাদৃশ নেই! এরপর কল্যাণী থানায় একটি জিডি করেন সন্তু পাল এবং পুলিশি সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস পান।
Social