বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, নদীয়াঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে নদীয়া সফরে এসে বলে গিয়েছিলেন, এবার থেকে স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম তৈরি হবে এই রাজ্যেই। তারপর থেকে নেওয়া হয় পাইলট প্রজেক্ট। নদীয়ার শান্তিপুরে শুরু হয়ে যায় সেই পাইলট প্রজেক্টর কাজ। একাধিক পাওয়ার লুমে শুরু হয়েছে স্কুলপড়ুয়াদের ইউনিফর্ম তৈরির কাজ। সুতো যোগান দিচ্ছে তন্তুজ। সেই সুতো দিয়ে কাপড় তৈরি করে করা হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম। কেমন চলছে সেই পাইলট প্রজেক্টর কাজ, তা খতিয়ে দেখতে এদিন শান্তিপুরে এসেছিলেন নদীয়ার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি, রানাঘাটের মহকুমাশাসক রানা কর্মকার, বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তারা পাওয়ার লুম মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জেনে নেন কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। যদিও পাওয়ারলুম মালিকদের কয়েকজন জানিয়েছেন, ‘কোন ক্ষেত্রেই তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিন বছরের চুক্তির ভিত্তিতে তারা নতুন উদ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিফর্ম তৈরি হলে সরকারই সেটা কিনে নেবে বলে জানিয়েছে। তাই তাদের কোন দুশ্চিন্তা নেই।’
তবে উদ্যোগীদের কাছ থেকে জানা গেল, এদিনের পর্যবেক্ষণ করা ওই কারখানা দুটিতে জমির শ্রেণী পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি সমস্যা আলোচনা হয়েছে। আর তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন, পরিবেশবিদরা বলছেন গাছ কেটে কারখানা নয়, জমিটি এখনও বাগান বলে উল্লেখ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি বাগান কাটার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে, উপরমহল থেকে এধরনের স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির কারখানা স্থাপনের চাপ আছে বলে দাবি করছেন কারখানার মালিকরা, অবশ্যই কারখানার প্রয়োজন তা বলে নিশ্চয়ই বাগান ধ্বংস করে নয় এমনই মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা। তবে এ ধরনের প্রশ্ন এদিন এড়িয়ে যান জেলা প্রশাসন।
Social