পাপু লোহার, কাঁকসাঃ সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ছাড়তে এসে অবিভাবকরা দেখেন বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলছে। বিদ্যালয় বন্ধ তাই অগত্যা ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যান অবিভাবিক-অবিভাবিকরা। এদিন বিজেপির ডাকা বনধকে সমর্থন জানিয়ে পানাগড় বাজারের একটি বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।
রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখল ও ভোট লুটের অভিযোগ তুলে রাজ্য জুড়ে ১২ঘন্টা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। বনধের তেমন প্রভাব না পড়লেও পানাগড় বাজারের স্টেশন সংলগ্ন একটি বেসরকারি হিন্দি মাধ্যম স্কুল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা।
ধর্মেন্দ্র শর্মা নামের এক অভিভাবক জানিয়েছেন, তারা স্কুলে এসে দেখেন দরজায় তালা দেওয়া। কিন্তু বনধের দিনেও পানাগড় বাজারের অন্যান্য স্কুল খোলা থাকলেও ওই বিদ্যালয় কোনো নোটিশ না করে কেন স্কুল বন্ধ রেখেছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের যে হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেন স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে সেই বিষয়ে তারা কাঁকসার বিডিওকে ফোনে অভিযোগ জানিয়েছেন।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা স্কুলের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে এই বিষয়ে সমস্ত অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের অপর এক পরিচালন সমিতির সদস্য জানিয়েছেন, তিনি বাইরে ছিলেন তাই এই বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে কি কারণে স্কুল বন্ধ সেই বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন।
পাশাপাশি ওই স্কুলের পাশেই চলছে নিউ মডেল স্কুল। নিউ মডেল স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল জানিয়েছেন বেসরকারি স্কুল হলেও স্কুল পুরোপুরি সরকারি নির্দেশেই চলে। এতে তাদের মন মর্জি চলে না।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা যুব সম্পাদক সন্দীপ মহল জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বনধ কোনো ভাবেই সমর্থন করা যাবে না। সকাল থেকেই বাজার ঘাট সমস্ত খোলা রাখার কথা। তার পরেও ওই হিন্দি মাধ্যম স্কুল কেন বনধ সমর্থন করে তারাও বন্ধ রেখেছে তা তাদের জানা নেই। তবে এই বিষয়ে তারা কাঁকসার বিডিও এবং কাঁকসা থানায় অভিযোগ জানাবেন।
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানিয়েছেন, তারা এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিগত দিনে স্কুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বনধের সময় স্কুল বন্ধ রাখার। পূর্বেও রাজনৈতিক দলের ডাকা বনধের দিনে স্কুল বন্ধ রাখা হতো। যার কারণে সোমবারের বনধেও তারা বিদ্যালয় বন্ধ রাখে। কারণ স্কুলে অনেক ছোট বাচ্ছা পড়াশোনা করে বনধের সময় স্কুল আসতে রাস্তায় সমস্যা হতে পারে।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে তিনি আবেদন করেছেন পুরোনো দিনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আগামী দিনে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনেই স্কুল খুলতে হবে।
Social