Breaking News

ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা শান্তিনিকেতন পূর্ব পল্লিমাঠে অনিশ্চিত

 

রবিশঙ্কর ঘোষ, বীরভূমঃ চলতি বছর পূর্বপল্লীর পৌষমেলার মাঠে ঐতিহ্যবাহী কবিগুরু-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “স্মৃতি বিজরিত” শান্তিনিকেতন পৌষমেলা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা।

রাজ্য সরকার পৌষমেলা করুক সেই মর্মে বোলপুর পৌরসভা কে চিঠি দিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বিশ্বভারতী পৌষমেলা না করলে, গত বছরের মতো চলতি বর্ষেও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি পৌষমেলা করবে ডাকবাংলো মাঠে। 

চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী প্রত্যেক বছর শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উদ্যোগে বিশ্বভারতীর পরিচালনায় শান্তিনিকেতন পূর্বপল্লীর পৌষমেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা।

৭ পৌষ থেকে ১০ পৌষ চার দিন মেলা হয় পূর্বপল্লীর মাঠে। গত বছর বিশ্বভারতী পৌষ মেলা না করায়। বাংলা সংস্কৃত মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি বছরেও শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর তরফ থেকে ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার রাজ্য সরকার তথা বোলপুর পৌরসভা কে চিঠি দিয়ে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা করার আহ্বান জানিয়েছে। ট্রাস্ট এর অভিযোগ, শান্তিনিকেতন পৌষমেলা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এই মেলায় ভিড় জমান। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭ শত স্টল হয়। কিন্তু মেলা করার জন্য যে উপযুক্ত পরিকাঠামো দরকার তা নেই ট্রাস্টের।

বিশেষ করে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল। পাশাপাশি শৌচাগার। এর আগে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী কে জানানো হয়েছিল। শান্তিনিকেতন পূর্বপল্লীর পৌষ মেলার মাঠ লাগোয়া চারটি বড় বাঁধ রয়েছে। সেখান থেকেই মেলায় আসা দোকানদারেরা জল ব্যবহার করে। কিন্তু বর্তমানে কচুরিপানাই এই চারটি বড় বাঁধ ভরে গিয়ে মজে গেছে। বিশ্বভারতী বাঁধ সংস্কারের ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগী হয়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট রাজ্য সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে পৌষমেলা করার জন্য। 

বোলপুর পৌরসভার পৌরমাতা- পর্না ঘোষ জানিয়েছেন, আমরা গতবছর পৌষমেলার করার ক্ষেত্রে সমস্ত রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃত মঞ্চকে। এবারেও সহযোগিতা করব। 

যদিও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যের। বিশ্বভারতী যদি পৌষমেলা না করে। তাহলে আমরা পৌষমেলা করব। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর চিঠি আমরা পেয়েছি।

About Burdwan Today

Check Also

কার্তিক লড়াইকে ঘিরে জমজমাট কাটোয়া

রাহুল রায়, কাটোয়াঃ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের সকলের কাছে সব থেকে বড় পুজো হল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *