জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোলঃ অর্থনীতির সূত্রানুযায়ী, মানুষের চাহিদা ও বাজারে যোগানের মধ্যে ঘাটতি থাকলে মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য হয়ে ওঠে। এছাড়াও একদল অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে খাদ্যসামগ্রী মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম অভাবের সৃষ্টি করে এবং এরফলে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ওদিকে মূল্যবৃদ্ধি রোধে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স থাকলেও তারাও নিজেদের দায়িত্ব পালনে উদাসীন থাকে। তারই সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটতেই থাকে। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন খাব কী? অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়টি কানে আসতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য টাস্ক ফোর্সকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের কৃষি দপ্তর।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কৃষিদপ্তরের একদল আধিকারিক সমৃদ্ধ টাস্ক ফোর্সের বিশেষ দল হানা দেয় আসানসোলের সবজি বাজারে। পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে তারা বাজার দরের দিকটি খতিয়ে দেখেন। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে কোনো ঘাটতি আছে কিনা, কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনি মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তারা খোঁজ নেন। বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে তারা কথা বলেন। কোনো ভাবেই অতিরিক্ত দাম নেওয়া যাবে না এই নির্দেশ তারা দেন। এদিন এই অভিযানে বেশ কিছু পণ্য আটক করার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর জরিমানা করাও হয়।
কৃষিদপ্তরের সহকারি নির্দেশক দিলীপ কুমার মণ্ডল বলেন, কৃষক থেকে সাধারণ মানুষের হাতে আসা পর্যন্ত মধ্যস্বত্ত্বকারীদের জন্য সবজির দামের মধ্যে অনেকটাই ফারাক হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাস্ক ফোর্সের এই উদ্যোগে খুব খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের প্রশ্ন হলো, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আসার আগে কেন টাস্ক ফোর্স সক্রিয় হবে না?
Social